বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে চ্যাম্পিয়ন ও রেলিগেশন নিশ্চিত হয়েছে কয়েক রাউন্ড বাকি থাকতেই। এখন প্রিমিয়ার লিগের আকর্ষণ বলতে শুধু রানার্সআপ কে হচ্ছে সেটি দেখার অপেক্ষা। শেখ জামাল ও ব্রাদার্স ইউনিয়নের মধ্যকার ম্যাচ ছাপিয়ে আলোচনায় মারামারি।
ম্যাচের নির্ধারিত সময় শেষ হয় গোলশূন্য ব্যবধানে। ইনজুরি সময়ের খেলা চলছিল। একটি ফাউল নিয়ে শেখ জামালের ফুটবলাররা ব্রাদার্সের ফুটবলারদের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়ান। কিছুক্ষণ পর খেলা পুনরায় শুরু হয়। শেখ জামাল ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে কর্নার পায়। সেই কর্ণার নেয়ার আগেই রেফারি ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজান। এতে শেখ জামালের ফুটবলাররা ক্ষীপ্ত হন। রেফারি ভুবন মোহন তরফদারকে ঘেরাও করেন। এক পর্যায়ে জামালের কোচিং স্টাফরাও রেফারিকে ব্যাপক জেরা করেন।
করোনাকালে দর্শকশূন্য গ্যালারীতে খেলা হচ্ছে। এর মধ্যেও ভিআইপি বক্স এবং এনক্লোজারে কয়েকজন দর্শক ও ক্লাব সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গরা থাকেন। শেখ জামালের ফুটবলারদের এমন আচরণে ব্রাদার্সের সংশ্লিষ্ট সমর্থকরা সমালোচনামূলক মন্তব্য করেন। এতে খুবই ক্ষুব্ধ হন জামালের ফুটবলাররা। কয়েকজন ফুটবলার মিলে ব্রাদার্সের সমর্থকের উপর হাত তোলেন।
ম্যাচে এত উত্তেজনা, মারামারি কিন্তু মাঠে পুলিশ সংখ্যা ছিল খুবই কম। পুলিশ থাকলে পরিস্থিতি এতটা সংকটাপন্ন হতো না। বাফুফে থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী ম্যাচে পুলিশ ছিলেন মাত্র ২-৩ জন। তারা অধিকসংখ্যক পুলিশের চাহিদা পাঠালেও কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের অভাবে স্বল্প সংখ্যক পুলিশ দিয়ে খেলা পরিচালিত করছে।
অবনমন নিশ্চিত হওয়ার পর ব্রাদার্স ইউনিয়ন যেন জেগে উঠল। শেখ জামালের বিরুদ্ধে গোলশূন্য ড্র করে এক পয়েন্ট পায়। এই ড্রয়ে ২২ ম্যাচে ৪৬ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার দুয়েই থাকল শেখ জামাল। সমান ম্যাচে ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে তিনে ঢাকা আবাহনী। ৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তলানীতেই ব্রাদার্স ইউনিয়ন।
তৃতীয় স্থানে থাকা আবাহনী লিমিটেড যদি শেষ দুই ম্যাচেই জয় পায়, তাহলে শেখ জামালকে রানার্সআপ হতে বাকি থাকা দুটি ম্যাচের একটিতে জয় এবং বাকি একটিতে ড্র করলেও চলবে। যদি আবাহনী একটি ম্যাচ জিতে তবে শেখ জামালের দরকার পরবে মাত্র এক পয়েন্ট। দুই দলের পার্থক্য তিন পয়েন্ট। দুই দলের পয়েন্ট সমান হলে সেক্ষেত্রে গোল ব্যবধানে দ্বিতীয় স্থান নির্ধারণ হবে। লিগে রানার্সআপ দলের সুযোগ মিলবে আগামী বছর এএফসি কাপের প্লে-অফ খেলার।