নিজস্ব প্রতিনিধি : চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় বর্ষার পানি বাড়ার সাথে সাথে ডিঙি নৌকা তৈরি ও বেচাকেনার হিড়িক পড়েছে। কোথাও কোথাও নৌকাই যেন তাদের একমাত্র ভরসা। কারিগররা ছোট-বড় কুশা ও ডিঙি নৌকা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। দিন-রাত নৌকা তৈরি করেও চাহিদা মেটাতে পারছে না তারা। তাছাড়া যাদের গত বছরের নৌকা আছে সেটাকেও তারা মেরামত করে নিচ্ছেন চলাচলের উপযোগী করে।
সরেজমিনে দেখা যায়, মতলব দক্ষিনের মুন্সিরহাট, বড়দিয়া বাজার, কাজলী সিনেমা হল সংলগ্ন চৌরাস্তার মোড়, পানির ট্যাংকি, খাদেরগাঁও বৌ বাজার, নাগদা নতুন বাজার, নারায়ণপুর পৌর বাজার সহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নৌকা তৈরী ও বিক্রি হচ্ছে। বর্ষাকালে নিম্নাঞ্চল ও বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে পানি বেড়ে গেলে গৃহস্থালির কাজে, খেয়া পারাপারে ছোট নৌকা, কোশা, ডিঙ্গি নৌকা, জেলেদের মাছ ধরার নৌকার চাহিদা বেড়ে যায় কয়েক গুণ। বর্ষার পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে কদরও বাড়ছে নৌকা ও নৌকা তৈরির কারিগরদের। বিগত দুই বছর বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন নৌকার কারিগররা। এ বছর ক্ষতি পুষিয়ে নিতে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তারা।নাগদা বাজারে গুরু ভান্ডার দোকানের নৌকা কারিগর ইন্দ্রজিদ সূত্রধর জানান, তাদের তৈরি বড় সাইজের নৌকা ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা, মাঝারি সাইজের ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা এবং ছোট সাইজের ৪ থেকে ৫ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয় এসব নৌকা।
কারিগর মাদব সূত্রধর, বিমল সূত্রধর, শাহবুদ্দিন ব্যাপারী, নাজির ও তাজুল ইসলাম জানান, পূর্বপুরুষ থেকে নৌকা তৈরি করে আসছি। তাই আমরাও নৌকা বানিয়ে জীবিকা অর্জন করি। নৌকা বিক্রির টাকা দিয়েই সংসার চলে। গত দুই বছর আমাদের ব্যবসার অবস্থার খুব খারাপ ছিল। এ বছর নৌকার বেশ চাহিদা রয়েছে, অর্ডার পাচ্ছি অনেক। তাই দিনরাত কাজ করছি।