নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেছেন, আওয়ামী লীগ ছাত্রলীগ করার কোন দরকার নেই। শুধু মা-বাবার প্রতি দায়িত্ব পালন করেন, সমাজের প্রতি দায়িত্ব পালন করেন, দেশের জন্য একটা ভালো কাজ করেন। আমাদের কথায় কান দিয়েন না। সুধু দেশের জন্য কিছু করেন। এই দেশকে কেউ শ্রীলঙ্কা কিংবা ব্যর্থ রাষ্ট্র বানাতে পারবে না। আর তাদের হাতেও এ দেশ যাবে না, যারা ৭১ সালে আমার মা-বোনের সম্মান নিয়েছে।
শামীম ওসমান, জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারীর বলেছেন, বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে এক দেখতে পারছি না, ঐক্য হওয়া দরকার। আমি বলি হ্যা ঐক্য হওয়া দরকার, কিন্তু কার সাথে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কয়েক দিন আগে আমাদের এক দলীয় প্রোগ্রামে বলেছিলেন, আমার দোষটা কী? এটাকে অনেকে ওনার দুর্বলতা ভেবে নিলো। আর এটা নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মিছিল বের করে ফেললো ছাত্রদল। ৭৫ এর হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার এ স্লোগান দেয়া হলো। অর্থাৎ ৭৫ বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে, সেই হাতিয়ার আরেকবার গর্জে উঠুক, শেখ হাসিনাকে হত্যা করবো। আমি জাতির পিতার কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বলতে চাই, এটাই আপনার দোষ। আপনি একটা দানবীয় ও অগণতান্ত্রীক দলকে গণতন্ত্রর পথে আনতে চান, এটাই আপনার দোষ।
তিনি আরও বলেন, ১৯৮১ সালে জাতির পিতার কন্য যখন সব হারিয়ে দেশে ফিরলেন। সে সময় ৩২ নম্বর বাড়িতে ঢুকে সুধু ২ রাকাত নামাজ পড়তে চেয়েছিলেন। তখন জিয়াউর রহমান সাহেব তাকে বাসায় ঢুকে নামাজ পড়তে দেন নাই। রাজনিতি কেউ করে মেধা দিয়ে কেউ করে অন্তর দিয়ে। আমি বলতে চাই রাজনিতি অন্তর থেকে করতে হয়। আমরা হৃদয় দিয়ে রাজনিতি করা মানুষ। ফাস্ট ইয়ারে থাকতে জিয়াউর রহমানের গাড়ি আটকিয়ে ছিলাম। বঙ্গবন্ধুর হতার বিচারের দাবিতে। পিঠ ফাটিয়ে ফেলেছিলো একটুও নরি নাই।
শামীম ওসমান বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট যারা হত্যা কান্ডের সাথে জড়িত ছিল। ১৯৭৯ সালে হা-না ভোটের নাটক করে তাদের বৈধতা দেয়া হয়েছিলো। তখন বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারি মাজেদ ছিলো বিদেশে। যাকে কয়েকদিন আগে ধরে নিয়ে আসা হয়েছিল। এই মাজেদকে খুশি করার জন্য জিয়াউর রহমান সাহেবের নির্দেশে তাকে বাংলাদেশে উপ-সচিব পদমর্যাদায় চাকুরি দেয়া হয়েছিলো। আরও দুঃখজনক ‘৯৫ তে ভোট বিহীন সরকারের আমলে ২শ’ ৮৫ জন মানুষকে জীবন দিতে হয়েছিলো। তার মাধ্যে আমাদের নারায়ণগঞ্জের ১২টা ছেলে ছিলো। এই হাত দিয়ে আমি ৪৯ জনের লাশ দাফন করেছি। ওনারা আন্দোলন করবে করুক, আমরা অপেক্ষা করছি। যে কখন ওনারা খেলবেন, আর আমরা সেই খেলাটা খেলতে চাই।
শামিম পাটয়ারি ও রুমিন ফারহানার উদ্দেশ্য শামীম ওসমান বলেন, আজকে যদি দেখেন আপনার পুরো বংশটাকে যারা নিরবংশ করে দিয়েছে। তাদের বিরদি দলের আসনে বসানো হয়। বিদেশের মাটিতে জয়কে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। শুধ তাই নয় এতগুলো হত্যা করার পরেও ২০০১ সালের ১৬ জুন আমার উপর বোমা হামলা করা হয়েছিলো। গত ১৩ বছরে ওনাদের আন্দলন কোথায় আছে আমি দেখি নাই। সেখানে ১৬ জুন যখন বোম ব্লাস্ট হয় তখনআমার ২০ জন মানুষকে হত্যা করা হয়েছিলো। পাল্লামেন্টে আমাকে একজন ওনি অসুস্থ মানুষ আল্লা ওনাকে ভালেঅ রাখুক, তিনি বলেছিলেন আমি তোকে তদখে নিবো। তার পরেই এই বম ব্লাস্ট হয়েছিলো। তখন আমার ২০ জন মানুষ মারা গিয়েছিলো। তখন আমার জ্ঞান ছিলো না।
তিনি বলেন, ২০২১ সালের নির্বাচনে আমি পাশ করে ছিলাম। কিন্তু নির্বাচন বৈধ হয় নাই। রাতের বেলায় আমার ভোট বদলে দেয়া হলো। তখন সেনাবহীনির লে. কর্নেল কামরুল বলেছিলেন চলে যান শামিম ভাই আপনাকে মেরে ফেলবে। আমি বললাম কারা, তিনি তখন নাম বলেছিলেন। কিন্তু আমি সেই নাম গুলো এখন বলবো না। তখন টেলিভিশন চ্যানালেগুলো আমকে প্রশ্ন করেছিলো যে কিছু বলবেন, আমি তখন একটা কথাই বলছি আমার নেত্রীকে বাঁচান।
শামীম ওসমান বলেন, ততকালিন বিরধি দলিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন, শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের জন্য নিরাপত্যা আইন পাশ করার জন্য নাকি আমি আমার উপর বোম ব্লাস্ট করেছি। ২১ আগস্টের ঘটনা ও গোপালগঞ্জের ঘটনা কারা ঘটালো। এই এতোগুলো ঘটনার পরে সমস্ত দায় কী সুধু শেখ হাসিনার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য। ওনারা যে ভয় দেখাচ্ছেন, রাস্তা কাঁপিয়ে দিবেন, করেন না। খেলবেন, কখন খেলবেন আসুন আমরা প্রস্তুত আছি। আমরা সৃষ্টি হয়েছি রাস্তা থেকে।
বুধবার (২০ জুলাই) একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টক-শোতে শামীম ওসমান এসব কথা বলেন।