রুদ্রবার্তা২৪.নেট: নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের ফরাজীকান্দা হইতে কলাগাছিয়া বাজার পর্যন্ত রাস্তাটির বেহাল দশায় জনগনের ভোগান্তির শেষ নেই।
সরেজমিনে দেখা যায়, এই রাস্তারটি এমন অবস্থা হয়েছে যে, মূর্মুর ও প্রসূতি রোগীদের হাসপাতালে বা ডাক্তার দেখতে আসা-যাওয়া জন্য খুবই অসুবিধা হচ্ছে, এমনকি একটু বৃষ্টি এলেই মৃত্যু ফাদে পরিনত হচ্ছে এ রাস্তাটি। নারায়ণগঞ্জে বা বন্দরে কাজ-কর্মে জন্য আশা মানুষদের কর্ম শেষে রাতের বেলায় বাসায় যাওয়া খুবই অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। গর্ত বা ভাঙ্গার কারণে ঠিকমতো কোন যানবাহন পাওয়া যায় না, কাজেই পায়ে হেঁটে বাসায় পৌছোতে হয়।
এ যেন দেখার কেউ নেই, অনেকেই মনে করছেন এ এলাকায় দক্ষ জনপ্রতিনিধির অভাব রয়েছে।
বর্তমানে এ প্রধান সড়ক সংলগ্নই ৩ জন কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত সদস্য বা মেম্বার ও ১ জন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য বসবাস করেন, তারাও এ একই রাস্তায় চলাচল করেন অথচ নির্বাক ! তবে নির্বাচন এলে তাদের দেখা যায়। আবার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষেরও হস্থক্ষেপের অভাব চরমভাবে অনুভব করছেন এলাকাবাসী।
কলাগাছিয়া, চুনাভূড়া, ঘারমোড়া হতে মদনগঞ্জ, ফরাজীকান্দা, বন্দর হয়ে ব্যবসায়ীক কাজে নারায়ণগঞ্জ যাতায়াতের একমাত্র প্রধান সড়ক এটি, তাছাড়াও দৈনিক শাখা প্রশাখার কয়েকটি গ্রামের কয়েক লক্ষ জনসাধারণ গুরুত্ব পুর্ন এ সড়কটি দিয়ে চলাচল করে। একটু বৃষ্টি হলেই আবার জন ভোগান্তি।
এদিকে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি গত কয়েক বছর যাবত এর বেহাল দশায় আছ-তে আছ-তে মৃত্যু ফাদে পতিত হচ্ছে যা যে কোন সময় বড় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে ।
যদি দ্রুত এর সংস্কার করা না হয়, তাহলে সড়কটি যে কোন সময় বড় গর্তে পরিনত হতে পারে। এখন ছোট ছোট গর্ত হয়ে কয়েকটি দুর্ঘটনাও ঘটেছে।
এ সড়কে চলাচলকারী রিক্সা, অটোরিক্সা, সিএনজি গুলো রাস্তায় জমা পানির গর্ত ও ময়লা পানির জন্য সাপের মতো আঁকাবাঁকা হয়ে হেলেদুলে চলাচল করতে হচ্ছে যা গন্তব্যস্থলে পৌঁছোতে অনেক সময় লেগে যাচ্ছে।
এসময় এক সিএনজি চালক বলেন, আমাদের গাড়ীর বাম্পারে পানি ডুকে হঠাৎ চলন্ত গাড়ী বন্ধ হয়ে যায়, বিকল হয়ে যায় গাড়ী, তখন না পারি গাড়ীর ভাড়া জমা দিতে না পারি সংসারের জন্য কিছু কিনে নিতে। এ অবস্থা চলতে থাকলে, এ সড়কে যে কোন সময় সকল প্রকার গাড়ী চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
অনেক স্থানে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় রাস্তার ময়লা পানির কারনে মুসল্লিগনের মসজিদে আসা যাওয়া করতে খুবই অসুবিদা হচ্ছে।
এরপর হয়েছে মরার উপর খরার ঘা একেতো রাস্তা ভাঙ্গা তারপর কে যেন কি ভেবে একটির স্থলে চারটি করে গতি রোধক (স্পিড ব্রেকার) দেওয়া হয়েছে, আবার অপ্রয়োজনীয় কিছু গতি রোধকও রয়েছে যা এখনো ভাঙাই হয়নি। এটাও খুব ভোগান্তি হচ্ছে, মূর্মুর ও প্রসূতি রোগীদের সহ জনসাধারণকে আরো ক্ষতি করছে।
এলাকাবাসী ও এ রাস্তায় চলাচলকারী জনগণ বলেন, আমাদের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাহেবকে বলে কোন লাভ নেই, তিনি দেখেও না দেখার ভ্যান করেন। এজন্য নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সেলিম ওসমান সাহেবের কাছে এ রাস্তাটির জন্য সু-দৃষ্টি কামনা করছেন স্থানীয় জনগণ। পাশাপাশি উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা প্রশাসন যাহাতে আমাদের এ কষ্ট ও দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে খুব দ্রুত পদক্ষেপ নিবেন বলে আশা করেন।