ভারতকে হারিয়ে এশিয়া কাপের শেষটা রাঙালো বাংলাদেশ। আজ শুক্রবার সুপার ফোরের শেষ ম্যাচে ভারতকে ৬ রানে হারায় বাংলাদেশ। এদিন টস হেরে ব্যাট করে বাংলাদেশ ৮ উইকেটে ২৬৫ রান করে। জবাবে ৪৯.৫ ওভারে ২৬০ রানে অলআউট হয় ভারত।
ব্যাট হাতে ভারতের শুভমান গিল সর্বোচ্চ ১২১ রান করেন। ৪২ রান করেন অক্ষর প্যাটেল। ২৬টি রান আসে সূর্যকুমারের ব্যাট থেকে।
বল হাতে বাংলাদেশের মোস্তাফিজুর রহমান ৮ ওভারে ৫০ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন। তানজিম হাসান সাকিব ৭.৫ ওভারে ১ মেডেনসহ ৩২ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন। মাহেদি হাসান ৯ ওভারে ১ মেডেনসহ ৫০ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন।
অক্ষরকে ফিরিয়ে ম্যাচ জমিয়ে দিলেন মোস্তাফিজ:
৪৯তম ওভারে এসেই উইকেট নিলেন মোস্তাফিজ। তার করা ওভারের প্রথম বলেই মিরাজের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন শার্দুল ঠাকুর। ১৩ বলে ১১ রান আসে তার ব্যাট থেকে।
এরপর চতুর্থ বলে ম্যাচ ছিনিয়ে নিতে যাওয়া অক্ষর প্যাটেলকে ফেরান মোস্তাফিজ। তার বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে তানজিদ হাসান তামিমের হাতে ধরা পড়েন অক্ষর। ৩৪ বলে ৩টি চার ও ২ ছক্কায় ৪২ রান করে যান তিনি।
গিলকে ফিরিয়ে ম্যাচে ফিরলো বাংলাদেশ:
গিলের ব্যাটে স্বপ্ন দেখছিল ভারত। দেখাটা স্বাভাবিক। সেঞ্চুরির পর ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছিলেন এই ব্যাটসম্যান। অবশেষে তাকে থামানো গেল। শেখ মাহেদির বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অফে তাওহীদ হৃদয়ের হাতে ধরা পড়েন তিনি। ৮টি চার ও ৫ ছক্কায় ১৩৩ বলে ১২১ রান করে যান তিনি।
গিলের সেঞ্চুরি:
ঠাণ্ডা মাথায় খেলে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন শুভমান গিল। ১১৭ বলে ৬টি চার ও ৪ ছক্কায় সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। এটা তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি।
মোস্তাফিজের শিকার জাদেজা:
অবশেষে উইকেটের দেখা পেলেন মোস্তাফিজুর রহমান। তার করা বলে রবীন্দ্র জাদেজার মিডেল স্ট্যাম্প উড়ে যায়। জাদেজা ১২ বলে ৭ রান করেন।
সাকিব ফেরালেন সূর্যকুমারকে:
সূর্যকুমারকে ফিরিয়ে শক্তিশালী হয়ে ওঠার জুটি ভাঙলেন সাকিব। দলীয় ১৩৯ রানের মাথায় তার বলে বোল্ড হয়ে যান সূর্যকুমার যাদব। ৩৪ বলে ৩ চারে ২৬ রান করে যান তিনি।
মিরাজ ফেরালেন কিশানকে:
দ্বিতীয় ওভারে এসেই উইকেট পেলেন মিরাজ। তার ঘূর্ণিতে পরাস্ত হয়ে এলবিডব্লিউ হন ইশান কিশান। ১৫ বলে ৫ রান আসে তার ব্যাট থেকে।
রাহুলকে ফিরিয়ে মাহেদি ভাঙলেন প্রতিরোধ:
১৭ রানেই ২ উইকেট হারানোর পর শুভমান গিল ও লোকেশ রাহুল ৫৭ রানের জুটি গড়েন। তাদের ব্যাটে ভর করে এগোচ্ছিল ভারত। কিন্তু দলীয় ৭৪ রানের মাথায় শেখ মাহেদির করা তৃতীয় ওভারের প্রথম বলে মিড উইকেট দিয়ে মারতে গিয়ে শামীম হোসেনের হাতে ক্যাচ দেন রাহুল। ৩৯ বলে ২ চারে ১৯ রান করে যান তিনি।
গিল-রাহুলে ভারতের প্রতিরোধ:
পর পর দুই ওভারে টপ অর্ডারের দুই ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে ভারতকে দারুণভাবে চেপে ধরেছিলেন অভিষিক্ত তানজিম হাসান সাকিব। কিন্তু ১৭ রানেই ২ উইকেট হারানো ভারত ঘুরে দাঁড়িয়েছে শুভমান গিল ও লোকেশ রাহুলের ব্যাটে। তাদের দুজনের সতর্ক ব্যাটিংয়ে ভারত ৭০ রান পেরিয়েছে।
পরের ওভারে আবারও উইকেট নিলেন তানজিম সাকিব:
পরের ওভারে ফিরে এসে আবারও উইকেট নিলেন তানজিম হাসান সাকিব। এবার তার করা চতুর্থ বলটি দেখে-শুনে ছেড়ে দেন তিলক ভার্মা। কিন্তু বল স্ট্যাম্পে চুমো খেয়ে এলোমেলো করে দেয়। তিলক ভার্মা বোকা বনে যান। আইপিএল মাতানো এই ব্যাটসম্যান ৯ বল খেলে ১ চারে ৫ রান করে যান।
দ্বিতীয় বলেই রোহিতকে ফেরালেন তানজিম সাকিব:
ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই রোহিত শর্মাকে ফিরিয়েছেন তানজিদ হাসান সাকিব। অভিষেক ম্যাচেই তিনি রোহিত শর্মার মতো ব্যাটসম্যানের উইকেট নিলেন। তার করা বলে কাভার পয়েন্টে এনামুল হক বিজয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান। ডাক মেরে ফেরেন ভারতের অধিনায়ক।
লেজের ঝড়ে বাংলাদেশের লড়াকু সংগ্রহ:
দলীয় ১৯৩ রানের মাথায় তাওহীদ হৃদয় আউট হওয়ার পর বাংলাদেশের দলীয় সংগ্রহ ২৫০ পেরুবে সেটা হয়তো কেউ ভাবেনি। কিন্তু লেজের ব্যাটসম্যানদের ঝড়ে শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেট হারিয়ে ২৬৫ রানের লড়াকু সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে বাংলাদেশ। আর সেটা সম্ভব হয়েছে নাসুম আহমেদ, মাহেদি হাসান ও তানজিদ হাসান সাকিবের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে।
নাসুম ৪৫ বলে ৬টি চার ও ১ ছক্কায় ৪৪ রান করেন। মাহেদি ২৩ বলে ৩ চারে অপরাজিত থাকেন ২৯ রানে। তার সঙ্গে ৪ বলে ১টি চার ও ১ ছক্কায় ১৪ রানে অপরাজিত থাকেন তানজিম হাসান। তাদের আগে সাকিব আল হাসান ৬টি চার ও ৩ ছক্কায় ৮০ ও হৃদয় ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৫৪ রান করেন। তাতে ২৬৫ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ।
বল হাতে ভারতের শার্দুল ঠাকুর ১০ ওভারে ৬৫ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন। ৮ ওভারে ১ মেডেনসহ ৩২ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন মোহাম্মদ শামি। রবীন্দ্র জাদেজা ১০ ওভারে ১ মেডেনসহ ৫৩ রান দিয়ে নেন ১টি উইকেট।
ঝড় তুলে ফিরলেন নাসুম:
সাকিব ও হৃদয় ফেরার পর ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন নাসুম আহমেদ। তিনি মাত্র ৪৪ বলে ৬টি চার ও ১ ছক্কায় ৪৪ রানের ইনিংস খেলে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণার বলে ইনসাইড এজ হয়ে বোল্ড হন। তার ব্যাটে ভর করে বাংলাদেশ লড়াকু সংগ্রহ পায়।
ফিফটি করে ফিরলেন হৃদয়:
সাকিবের সঙ্গে শতরান জুটি গড়েছিলেন তাওহীদ হৃদয়। সাকিব ফেরার পর আত্মবিশ্বাসী সব শট খেলে তুলে নেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের পঞ্চম ফিফটি। তার ব্যাটে ভর করে বাংলাদেশ লড়াকু সংগ্রহ পাওয়ার স্বপ্ন দেখছিল। কিন্তু দলীয় ১৯৩ রানের মাথায় মোহাম্মদ শামীর বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে তিলক ভার্মার হাতে ধরা পড়েন। ৮২ বল খেলে ৫টি চার ও ২ ছক্কায় ৫৪ রান করে যান তিনি।
সাকিবের পর ফিরলেন শামীমও:
সাকিব আউট হওয়ার পর দ্রুতই ফেরেন নতুন ব্যাটসম্যান শামীম হোসেন। তিনি ৫ বল খেলে ১ রান করে রবীন্দ্র জাদেজার বলে এলবিডব্লিউ হন।
শতরানের জুটি গড়ে ফিরলেন সাকিব:
সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মিছিল দেখে মাঠে নেমে থিতু হয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। ফিফটি করার আগে আগে খেলছিলেন হাতখুলে। এগিয়ে যাচ্ছিলেন সেঞ্চুরির দিকে। কিন্তু হলো না। তাওহীদ হৃদয়ের সঙ্গে ১০১ রানের জুটি গড়ে ফিরলেন তিনি। শার্দুল ঠাকুরের বলে বোল্ড হয়ে যান বাংলাদেশের অধিনায়ক। ৮৫ বলে ৬টি চার ও ৩ ছক্কায় ৮০ রানের ইনিংস খেলে যান তিনি।
সাকিবের ৫৫তম ফিফটি:
একদিকে উইকেট পড়লেও ঠাণ্ডা মাথায় ব্যাটিং করে ক্রিজে থিতু হন সাকিব। এবার তুলে নিলেন ক্যারিয়ারের ৫৫তম ফিফটি। ৬৫ বলে ৫টি চার ও ১ ছক্কায় ফিফটি পূর্ণ করেন তিনি। তার ও তাওহীদ হৃদয়ের ব্যাটে ভর করে এগোচ্ছে বাংলাদেশ।
সাকিব-হৃদয়ে শতরান পেরিয়ে বাংলাদেশ:
মেহেদী হাসান মিরাজ আউট হওয়ার পর সাকিব আল হাসান ও তাওহীদ হৃদয় টেনে নিচ্ছেন বাংলাদেশের দলীয় সংগ্রহকে। এই জুটি ইতোমধ্যে ৬৬ বলে ৪৯ রান সংগ্রহ করেছে। তাতে বাংলাদেশের দলীয় সংগ্রহ ১০০ পেরিয়েছে। সাকিব ৪৪ ও হৃদয় ২৫ রানে ব্যাট করছেন।
দুইবার জীবন পেয়ে ফিরলেন মিরাজও:
দুইবার জীবন পেয়ে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে দলীয় সংগ্রহকে টেনে নিচ্ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। কিন্তু ইনিংসকে বড় করতে পারেননি তিনি। দলীয় ৫৯ রানের মাথায় অক্ষর প্যাটেলের বলে রোহিত শর্মার হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ২৮ বল খেলে ১ চারে মাত্র ১৩টি রান আসে তার ব্যাট থেকে।
সাকিব-মিরাজে ৫০ রান পেরিয়ে বাংলাদেশ:
২৮ রানেই ৩ উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজ। তারা দুজন ৩১ রানের জুটি গড়ে দলীয় সংগ্রহকে ৫০ পার করেন।
তিন উইকেট হারিয়ে বিপাকে বাংলাদেশ:
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ষষ্ঠ ওভারেই তিন উইকেট হারিয়ে বসেছে বাংলাদেশ। ফিরে গেছেন লিটন কুমার, তানজিদ হাসান ও এনামুল হক বিজয়। সেখান থেকে দলকে টানছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজ।
লিটনের পর তানজিদের বিদায়, ব্যাটিং বিপর্যয়ে বাংলাদেশ
লিটনের পর এবার বিদায় নিলেন দারুণ শুরু করা তানজিদ। শামির করা বলের লাইন মিস করে বোল্ড আউট হন এই তরুণ। আউট হওয়ার আগে ৩ চারের মারে ১২ বলে ১৩ রান করেন তানজিদ।
শূন্য রানে লিটনের বিদায়
তানজিদের দারুণ শুরুর পর শুন্য রানে বিদায় নিয়েছেন আরেক ওপেনার লিটন দাস। শামির করা গুড লেংথের বলটা পড়তেই পারেননি লিটন। কিছু বুঝার আগেই ইনসুইংয়ে ছত্রখান হয়ে যায় লিটনের স্টাম্প। তাতে ২ বল খেলে ০ রানে বিদায় নেন এই ওপেনার।
তানজিদ-লিটনে বাংলাদেশের দারুণ শুরু
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু করেছেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার লিটন দাস ও তানজিদ হাসান। মোহাম্মাদ শামিকে দারুণে এক চারে স্বাগত জানান তানজিদ। পরের ওভারেই শার্দুল ঠাকুরকে টানা দুই চার মারেন এই ওপেনার। তাতে ২ ওভার শেষে বিনা উইকেটে ১৩ রান তুলেছে বাংলাদেশ।
তানজিমের অভিষেক
বাংলাদেশের ১৪৫তম ওয়ানডে ক্যাপ পেয়েছেন পেসার তানজিম হাসান সাকিব। এশিয়া কাপে সুপার ফোরের শেষ ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে তার অভিষেক হলো। তাসকিন, শরিফুল ও হাসানকে বিশ্রামকে রাখায় একাদশে পেসারের দরকার ছিল। ডানহাতি দ্রুতগতির বোলার তানজিমকে আজ বাজিয়ে দেখছে টিম ম্যানেজমেন্ট। এবারের এশিয়া কাপে এটি বাংলাদেশের তৃতীয় অভিষেক। এর আগে তানজিদ হাসান তামিম ও শামীম হোসেন পাটোয়ারীর অভিষেক হয়েছিল। তানজিদ অভিষেক ম্যাচের পর বাদ পড়েছিলেন। আজ আবার ফিরেছেন তিনি। শামীম টানা খেলে গেলেও এখনো নিজের সামর্থ্যের সবকুটু দিতে পারেননি।
টস
টস জিতে ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
পরিবর্তনের জোয়ার দুই দলে
আগেই জানা ছিল দুই দল একাধিক পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামবে। দুই দলের একাদশেই পরিবর্তনের জোয়ার। মুশফিকুর রহিম আগে থেকেই দলে নেই। এছাড়া নাঈম শেখ, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম এবং হাসান মাহমুদকে বিশ্রামে রেখে দলে ফেরানো হয়েছে এনামুল হক বিজয়, তানজিদ হাসান তামিম, শেখ মাহেদি হাসান ও মোস্তাফিজুর রহমানকে। এছাড়া অভিষেক হচ্ছে তানজিম হাসান সাকিবের।
বাংলাদেশ একাদশ: লিটন দাস (উইকেটরক্ষক), তানজিদ হাসান তামিম, এনামুল হক, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), তৌহিদ হৃদয়, শামীম হোসেন, মেহেদি হাসান মিরাজ, শেখ মাহেদি, নাসুম আহমেদ, তানজিম হাসান সাকিব ও মোস্তাফিজুর রহমান।
ভারতের একাদশেও পাঁচ পরিবর্তন আনা হয়েছে। বিরাট কোহলি, জসপ্রিত বুমরাহ, কুলদীপ যাদব, মোহাম্মদ সিরাজ ও হার্দিক পান্ডিয়াকে বিশ্রামে পাঠানো হয়েছে। দলে এসেছেন সূর্যকুমার যাদব, তিলক ভার্মা, শার্দুল ঠাকুর, মোহাম্মদ সামি ও প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ।
ভারত একাদশ: রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), শুভমান গিল, সূর্যকুমার যাদব, তিলক ভার্মা, কেএল রাহুল, ইশান কিশান (উইকেটরক্ষক), রবীন্দ্র জাদেজা, অক্ষর প্যাটেল, শার্দুল ঠাকুর, মোহম্মদ শামি ও প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ।
হেড টু হেড
দুই দলের ৩৯ মুখোমুখিতে বাংলাদেশ জিতেছে ৭ ম্যাচে। ভারত জিতেছে ৩১টিতে। ফল হয়নি ১ ম্যাচে। গত বছর ডিসেম্বরে হয়েছিল দুই দলের সর্বশেষ সাক্ষাৎ। বাংলাদেশ সফরে এসে ভারত ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হেরেছে পূর্ণ শক্তির দল নিয়েও। সেদিক থেকে এশিয়া কাপের পারফরম্যান্স যেটাই হোক, আজকের ম্যাচে বাংলাদেশ বড় চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেবে এমনটাই প্রত্যাশা সবার।
শূন্য হাতে ফিরতে চায় না বাংলাদেশ
এশিয়া কাপে আফগানিস্তানকে হারিয়ে সুপার ফোরে উঠলেও বাংলাদেশ পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কোনো লড়াই করতে পারেনি। পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে আগেই ফাইনাল নিশ্চিত করা ভারত বরাবরই শক্তিশালী। সুপার ফোরে নিজেদের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ হারাতে চায় ভারতকে। শূন্য হাতে ফিরতে চান না সাকিব-লিটনরা। কাজটা নিঃসন্দেহে কঠিন। তবে অসম্ভব নয় মোটেও।
নিয়মরক্ষার ম্যাচে বাংলাদেশ-ভারত
রোববারের ফাইনালে ভারত আগেই পা দিয়ে রেখেছিল। গতকাল নিশ্চিত হয়েছে তাদের প্রতিপক্ষ। পাকিস্তানকে হারিয়ে শ্রীলঙ্কা গেছে ফাইনালে। তাইতো আজকের ভারত ও বাংলাদেশের ম্যাচটি স্রেফ নিয়মরক্ষার। ভারত নিশ্চিতভাবেই বেঞ্চ পরীক্ষা করবে।
বাংলাদেশেরও সুযোগ বিশ্বকাপের আগে নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়ার আরেকটি সুযোগ কাজে লাগানোর। আর প্রেমাদাসায় ১২ ওয়ানডে খেলা বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা একেবারেই সুখকর নয়। সব ওয়ানডেতেই এই মাঠে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় হেরেছে বাংলাদেশ। তাই সাকিবদের সেই পরিসংখ্যান পাল্টানোর চ্যালেঞ্জও থাকবে।