কেমন যেন অদ্ভুত এক নীরবতা চারপাশে। দুবাই ক্রিকেট স্টেডিয়ামের প্রেসবক্স থেকে শুরু করে গ্যালারি, কোথাও যেন প্রাণ নেই! স্টেডিয়ামের পাশ দিয়ে হেঁটে আসার সময়ও দেখা গেল উচ্ছ্বাসহীন দর্শকের মুখচ্ছবি। একদিন আগেই দিওয়ালির রঙে রঙিন হলেও অবয়বে তা উধাও। অবশ্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালের ভাগ্য যখন সুতোর ওপর ঝুলছে তখন আর হাসি থাকেই বা কী করে ভারতীয় সমর্থকদের মুখে!
শুক্রবার দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে মাঠে নামার আগেই সমীকরণটা জানা হয়ে গিয়েছিল, স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে জিতলেই চলবে না, কামনা করতে হবে ৭ নভেম্বর আফগানিস্তানের কাছে নিউজল্যান্ডের হার। আর নিজেদের তো শেষ ম্যাচে নামিবিয়াকে হারাতেই হবে। এই যদি-কিন্তুর পথে প্রথম কাজটা ছুটির দিনে সেরে নিয়েছে বিরাট কোহলির দল। স্কটিশদের বিপক্ষে তুলেছে ৮ উইকেটের জয়।
রাতের এই ম্যাচে টস ভাগ্যটাও সঙ্গে থেকেছে বার্থ ডে বয় বিরাট কোহলির। প্রথমে ভারত অধিনায়ক ব্যাটিংয়ে পাঠালেন স্কটল্যান্ডকে। ওমানে বাছাই পর্বে বাংলাদেশকে হারানো দলটি শুক্রবার তুলল ১৭ ওভার ৪ বলে অলআউট হয়ে ৮৫ রান। জবাব দিতে নেমে রানরেট বাড়িয়ে নেওয়ার একটা ব্যস্ততা তো ছিলই ভারতের। সেই পরীক্ষায় ভালোই করল তারা। ৬ ওভার ৩ বলে ২ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নিল রোহিত শর্মারা।
স্কটিশদের মামুলি সংগ্রহটা ৭ ওভার ১ বলের মধ্যে পার হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামে ভারত। কারণ এটা পারলেই আফগানিস্তানের রান রেট পেছনে ফেলার হাতছানি ছিল। ৮ ওভার ৫ বলের মধ্যে জিতলে নিউজিল্যান্ডকে টপকাতো ভারত। দুটো লক্ষ্যই পূরণ করেছে কোহলির দল। টি-টোয়েন্টিতে ৮১ বল হাতে রেখে জয়, বিস্ময়কর!
অবশ্য দলটার ঘুম উধাও হয়ে গেছে পাকিস্তানের বিপক্ষে হারের পরই। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে ১০ উইকেটে বিধ্বস্ত হওয়ার রেশ না কাটতেই নিউজিল্যান্ডের কাছে বিরাট কোহলির দল হেরে যায় ৮ উইকেটে! এরপর আফগানদের ৬৬ রানের বড় ব্যবধানে হারালেও ভারতের বিশ্লেষকরা মনে করছে আদতে শেষই হয়ে গেছে তাদের দলের বিশ্বকাপ মিশন।
এই গ্রুপ থেকে সবার আগে সেমিতে পা রেখেছে পাকিস্তান। আর নিউজিল্যান্ডও আছে দাপটে। তারা আফগানদের হারাতে পারলেই শেষ চারের টিকিটটাও পেয়ে যাবে! নামিবিয়াকে শুক্রবার ৫২ রানে উড়িয়ে দিয়ে কাজটা সহজ করে নিয়েছে কিউইরা। এখন শুধু আফগানদের বিপক্ষে জয় হলেই হবে। রান রেট নিয়ে ভাবতে হবে না কেন উইলিয়ামসনদের।