বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ব্যালন ডি’অরের পুরস্কারের সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা হয়নি দুই ফুটবল মহাতারকা লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর। ব্যাপারটা ফুটবল প্রেমীদের কাছে অবাক করার মতোই। গত ১৬ বছরে ১৩ বারই পুরস্কারটি গেছে এই দুজনের দখলে। রেকর্ড আটবার ব্যালন ডি’অর পুরস্কারজয়ী মেসি ও পাঁচবার জয়ী রোনালদোর মধ্যে কাউকেই মনোনীত করা হয়নি।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে ফরাসি সাময়িকী ‘ফ্রান্স ফুটবল’- এর পুরস্কার ব্যালন ডি’অরের ২০২৪ এর ৩০ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়। ২০০৩ সালের পর প্রথমবার ব্যালন ডি’অরের সংক্ষিপ্ত তালিকায় নেই মেসি ও রোনালদোর কেউই।
অনেক আগেই ইউরোপিয়ান ফুটবলের ইতি টেনেছেন মেসি-রোনালদো। সৌদি লিগে ক্লাব আল নাসরে খেলেন সিআরসেভেন আর এলএমটেন খেলেন মেজর সকার লিগ ইন্টার মায়ামির হয়ে। সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসরের হয়ে গত মৌসুমটা ব্যক্তিগতভাবে অবশ্য দারুণ কাটে রোনালদোর। সৌদি প্রো লিগে ৩১ ম্যাচে তিনি গোল করেন ৩৫টি। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ক্লাবের হয়ে ৪৫ ম্যাচে ৪৪ গোল করেন ৩৯ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড।
এদিকে, আর্জেন্টিনা কোপা আমেরিকা জিতলেও, ব্যক্তিগতভাবে আসরে ভালো করতে পারেননি ফুটবল মহাতারকা মেসি। ফাইনালে অ্যাঙ্কেলে চোট পেয়ে এখনও মাঠের বাইরে আছেন তিনি। ক্লাব ইন্টার মায়ামির হয়ে তিনি খুব একটা খারাপ করেননি। তবে ব্যালন ডি’অরের লড়াইয়ে জায়গা পাওয়ার জন্য তা যথেষ্ট হয়নি।
এবার ব্যালন ডি’অর পুরস্কারটি জয়ে ফেবারিট বেশ কয়েকজন। এদের মধ্যে ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, রদ্রি, জুড বেলিংহাম, কিলিয়ান এমবাপ্পে, আর্লিং হলান্ড ও হ্যারি কেইন। রিয়াল মাদ্রিদে দুই সতীর্থ ভিনিসিয়ুস ও বেলিংহাম গত মৌসুমে ক্লাবকে লা লিগা ও চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতিয়েছেন।
৩০ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকায় রিয়াল মাদ্রিদ থেকে জায়গা পেয়েছেন সর্বোচ্চ ৭ জন খেলোয়াড়— টনি ক্রুস, ভিনিসিয়ুস, বেলিংহাম, ফেদে ভালভের্দে, দানি কারভাহাল, আন্তনিও রুডিগার ও কিলিয়ান এমবাপ্পে।
সিটি থেকে জায়গা পেয়েছেন চার খেলোয়াড়— রুবেন দিয়াস, ফিল ফোডেন, হলান্ড ও রদ্রি। আর্সেনাল থেকেও জায়গা পেয়েছেন চার খেলোয়াড়। স্পেনের ইউরোজয়ী দল থেকে সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা পেয়েছেন কারভাহাল, আলেহান্দ্রো গ্রিমালদো, দানি ওলমো, রদ্রি, নিকো উইলিয়ামস ও লামিনে ইয়ামাল।
এদিকে, বায়ার লেভারকুসেনকে গত মৌসুমে অপরাজিত রেখে বুন্দেসলিগার শিরোপা জেতানো জাবি আলোনসো ছেলেদের বর্ষসেরা কোচের পুরস্কার জয়ে ফেবারিট। তবে রিয়াল কোচ কার্লো আনচেলত্তি ও স্পেনের কোচ লুইস দে লা ফুয়েন্তে তার শক্ত প্রতিদ্ব্ন্দ্বী। মেয়েদের বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জয়ে ফেবারিট স্পেন ও বার্সেলোনার আইতানা বোনমাতি।
১৯৫৬ সাল থেকে ব্যালন ডি’অর পুরস্কার দিয়ে আসছে ফরাসি সাময়িকী ‘ফ্রান্স ফুটবল’। ব্যালন ডি’অর সাধারণত, গত বছর অর্থাৎ ১ আগস্ট থেকে এ বছর ৩১ জুলাই পর্যন্ত সময়ের মধ্যে পারফরম্যান্স বিবেচনা করা হবে।