স্টাফ রিপোর্টার: ফতুল্লা থানাধীন পুলিশ লাইন সংলগ্ন আফাজনগর হাউজিং সোসাইটির কর্তৃত্ব নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বোরখা শামীমের শ্যালক তানভীর টিটুর মাদক কারবারের অন্যতম সহযোগী সারোয়ার হোসেন টিটু, কালিম উল্লাহ বিপু, মোফাজ্জল ও সন্ত্রাসী রতন বাহিনী।
তারা এখন আওয়ামীলীগের বোল পাল্টে নিজেদের কে বিএনপির নেতা পরিচয় দিতে শুরু করেছে। বিশেষ করে সারোয়ার হোসেন টিটু’র পালিত সন্ত্রাসী রতন বাহিনীর উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে আফাজনগর হাউজিংবাসী।
জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের বোরখা পড়ে পালিয়ে যাওয়া সাবেক সাংসদ শামীম ওসমানের প্রভাব বিস্তার করে এর আগেও অনেকবার আফাজনগর হাউজিংয়ের সভাপতি হতে চেয়েছিলেন এই সারোয়ার হোসেন টিটু। কিন্তু হাউজিং সোসাইটির সদস্য তথা স্থানীয় বাড়িওয়ালারা টিটু কে সভাপতি হিসেবে মানতে নারাজ। কারণ হিসেবে জানা যায়, ইতোপূর্বে সারোয়ার হোসেন টিটু হাউজিংয়ের সভাপতি হতে চাইলে সবাই মিলে তাকে সভাপতি পদের দায়িত্ব দিয়েছিল। প্রায় ২ বছর তিনি সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করেন। আর সে সময় তিনি নিজেকে বেশ ক্ষমতাধর সভাপতি হিসেবে ভাব নিতে শুরু করেন। যেন সভাপতি নয় তিনি হাউজিংয়ের স্ব-ঘোষিত রাজা এবং সোসাইটির বাড়িওয়ালারা সব তার প্রজা।
আফাজনগর হাউজিং সোসাইটির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বাড়িওয়ালা এই প্রতিবেদক কে জানান, সারোয়ার হোসেন টিটু বিগত সময়ে দুই বছর সভাপতি হিসেবে দায়িত্বে থাকাকালে ওসমানদের প্রভাবসহ নানা আপত্তিকর কর্মকাণ্ড করে বাড়িওয়ালাদের মন বিষিয়ে তোলে। সারোয়ার টিটু সে সময় বাড়িওায়ালাদের সাথে ভৃত্যের মত আচরণ সহ নানা বিতর্কের জন্ম দেয়। তৎকালীন সময়ে সাবেক এমপি বোরখা শামীম, তার শ্যালক তানভির আহমেদ টিটু সহ বিভিন্ন আওয়ামী নেতাদের ঘনিষ্ঠজন পরিচয়ে হাউজিংবাসীদের কে তার তর্জনী আঙ্গুলের ইশারায় কোনঠাসা করে রাখতো। তার আপত্তিকর আচরণের প্রতিবাদ কেউ করলে তাকে হাউজিং ছাড়া করার হুমকি ধমকি ও দিতেন। যাকে তাকে তিনি তুই তুমি সম্মোধন করে নিজেকে বড় ক্ষমতাবান সভাপতি হিসেবে জাহির করতো। যে কারণে আফাজনগর হাউজিং সোসাইটির বাড়িওয়ালা সদস্যরা সারোয়ার হোসেন টিটু কে আর নেতৃত্ব দিতে নারাজ। কিন্তু সারোয়ার টিটু তার মাদক বিক্রেতা সহযোগী মোফাজ্জল হোসেন, কালিম উল্লাহ বিপু রতন বাহিনীকে দিয়ে হাউজিংয়ের প্রতিনিয়ত নানা প্রভাব প্রভাগান্ডা রেখেছে অব্যাহত।
সদস্যরা জানায় সারোয়ার হোসেন টিটু আগে সাবেক এমপি শামীম ওসমানের শ্যালক তানভির আহমেদ টিটু’র নেতৃত্বে ফতুল্লা থানাধীন পাগলা মেরী এন্ডারসন এবং নারায়ণগঞ্জ ক্লাব এলাকায় বিদেশী সকল মদ বিয়ার সরবরাহ করতেন। সেই সুবাদে তৎকালীন নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের সভাপতি এবং বিসিবির সদস্য তানভীর আহমেদ টিটুর অপকর্মের সহযোগী হিসেবে বেশ দাপুটে রংবাজ হিসেবে নিজেকে সর্বত্র উপস্থাপন করতো সারোয়ার হোসেন টিটু। হাউজিংয়ের প্রায় দুই তৃতীয়াংশেরও বেশি সদস্য তাকে অপছন্দ করলে ও যেন গায়ে মানেনা আপনি মোড়ল হতে চান তিনি। তাছাড়া, আওয়ামী স্বৈরাচারী আমলে এই টিটুর সহযোগী কালিম উল্লাহ বিপু, হাজী মোফাজ্জল এবং সন্ত্রাসী রতন কে দেখা যেতো শামীম ওসমানের ঘনিষ্ঠজন প্রয়াত চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান স্বপন, কাউসার আহমেদ পলাশ, ফাইজুল সহ স্থানীয় প্রভাবশালী আওয়ামী নেতাদের সাথে। কিন্তু এখন।তারা রাতারাতি বোল পাল্টে নিজেদের পরিচয় দিচ্ছেন বিএনপির নেতা হিসেবে। আর বিএনপির নেতা পরিচয়ে এখন তারা জোর করে বর্তমান৷ সভাপতি আমজাদ হোসেন এবং সেক্রেটারি কবির শেখকে হটিয়ে আফাজনগর হাউজিংয়ের কর্ণধার হতে চায়। এ নিয়ে রতন মোফাজ্জল সহ কতিপয় যুবক ছেলেদের নিয়ে হাউজিং অভ্যন্তরে প্রতিদিন নানা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে চলেছে। তাই এ ব্যাপারে আফাজনগর হাউজিং সোসাইটির বাড়িওয়ালা সদস্যরা ফতুল্লা থানার ওসি এবং নবাগত এসপির হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। অন্যথায় এ হাউজিং অভ্যন্তরে দ্বন্দ সংঘাত সহ আইন শৃঙ্খলার ব্যঘাত তথা অবণতি হতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করছে স্থানীয়রা।