শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪২ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

বেনজীরের সম্পত্তি ক্রোক ও ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের নির্দেশ

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ২৪ মে, ২০২৪, ৯.০৪ এএম
  • ৩৮ বার পড়া হয়েছে

সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের গোপালগঞ্জ ও কক্সবাজারের ৮৩টি দলিলের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তার সব ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের (অবরুদ্ধ) আদেশও দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালতে মামলার অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক হাফিজুল ইসলাম সম্পদ ক্রোক ও ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের আবেদন করেন।

দুদকের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর। শুনানি শেষে আদালত বেনজীর আহমেদের ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের আদেশ দেন। আদালত আদেশে বলেন, অবরুদ্ধকরণ আদেশ কার্যকর থাকা অবস্থায় অর্থ অবরুদ্ধ হিসাবসমূহে জমা করা যাবে না বা কোনও অবস্থাতেই উত্তোলন করা যাবে না।

একইসাথে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তার স্থাবর সম্পত্তিও ক্রোকের আদেশ দেন। ক্রোকের আদেশে আদালত বলেন, স্থাবর সম্পত্তির ওপর ক্রোকাদেশ কার্যকর থাকা অবস্থায় ক্রোককৃত স্থাবর সম্পদ কোনও অবস্থাতেই হস্তান্তর বা বিনিয়োগ করা যাবে না।

সম্প্রতি প্রকাশিত এক জাতীয় দৈনিক পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও র‌্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদের বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর থেকেই বেশ আলোচনায় পুলিশের সাবেক এই আইজিপি।

জাতীয় ওই দৈনিকে ‘বেনজীরের ঘরে আলাদীনের চেরাগ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যেখানে তার নানা অর্থ-সম্পদের বিবরণ তুলে ধরা হয়। বেনজীরের বিপুল সম্পদের মধ্যে রয়েছে- গোপালগঞ্জের সাহাপুর ইউনিয়নে সাভানা ইকো রিসোর্ট নামের এক অভিজাত ও দৃষ্টিনন্দন পর্যটনকেন্দ্র। এ ছাড়াও তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের নামে দেশের বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ছয়টি কোম্পানির খোঁজ পাওয়া গেছে। পাঁচটি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকার বেশি হতে পারে।

প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়, ঢাকার অভিজাত এলাকাগুলোতে বেনজীর আহমেদের দামি ফ্ল্যাট, বাড়ি আর ঢাকার কাছের এলাকায় বিঘার পর বিঘা জমি রয়েছে। দুই মেয়ের নামে বেস্ট হোল্ডিংস ও পাঁচতারা হোটেল লা মেরিডিয়ানের রয়েছে দুই লাখ শেয়ার। পূর্বাচলে রয়েছে ৪০ কাঠার সুবিশাল জায়গাজুড়ে ডুপ্লেক্স বাড়ি, যার আনুমানিক মূল্য কমপক্ষে ৪৫ কোটি টাকা। একই এলাকায় রয়েছে ২২ কোটি টাকা মূল্যের আরও ১০ বিঘা জমি। অথচ, গত ৩৪ বছর ৭ মাসের দীর্ঘ চাকরিজীবনে বেনজীর আহমেদ বেতন-ভাতা বাবদ মোট আয় এক কোটি ৮৪ লাখ ৮৯ হাজার ২০০ টাকার মতো হওয়ার কথা।

বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চিঠি দেন সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। পরে দুদক অনুসন্ধান শুরু করে। অনুসন্ধানকালে তার সম্পত্তি ক্রোকের আবেদন করে দুদক। এরপরই আদালত সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ মঞ্জুর করেন।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2021 rudrabarta24.net
Theme Developed BY ThemesBazar.Com

sakarya bayan escort escort adapazarı Eskişehir escort