টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার টুয়েলভে বৃষ্টি আইনে ইংল্যান্ডকে ৫ রানে হারিয়ে চমক দেখালো আয়ারল্যান্ড। টি-টোয়েন্টিতে ইতিহাসে দ্বিতীয় মোকাবেলায় ইংলিশদের হারিয়ে দিলো আইরিশরা। দুই দলের এর আগের ম্যাচটিও বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়েছিলো।
এ ম্যাচ শেষে ২ খেলায় ১ জয় ও ১ হারে সমান ২ করে পয়েন্ট ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডের। রান রেটে এগিয়ে তৃতীয়স্থানে আইরিশরা। আর রান রেটে পিছিয়ে চতুর্থস্থানে ইংল্যান্ড। নিজেদের প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ড ৫ উইকেটে হারিয়েছিলো আফগানিস্তানকে। অন্য দিকে শ্রীলংকার কাছে ৯ উইকেটে হেরে আসর শুরু করেছিলো আয়ারল্যান্ড।
মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টস জিতে প্রথমে বোলিং বেছে নেয় ইংল্যান্ড।
ব্যাট হাতে নেমে দলীয় ২১ রানে প্রথম উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। ৮ বলে ১টি করে চার-ছক্কায় ১৪ রান করে আউট হন পল স্টার্লিং।
দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ইংল্যান্ড বোলারদের উপর তান্ডব চালিয়েছেন আরেক ওপেনার অধিনায়ক এন্ডি বলবির্নি ও লরকান টাকার। ৫৭ বলে ৮২ রানের জুটি গড়েন তারা। জুটিতে ২৭ বলে ৩৪ রান অবদান রেখে রান আউট হন টাকার। এই জুটির কল্যাণে ১২ ওভারে ১০২ রান পেয়ে যায় আয়ারল্যান্ড।
টাকার ফেরার পরই বিদায় নেন বলবির্নি। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের অষ্টম হাফ-সেঞ্চুরি পাওয়া ইনিংসে শেষ পর্যন্ত ৬২ রান করেন তিনি। ৪৭ বলের ইনিংসে ৫টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন বলবির্নি।
দলীয় ১০৩ রানে টাকার ও বলবির্নি বিদায়ের পর আয়ারল্যান্ডের মিডল-অর্ডারকে চেপে ধরেন ইংল্যান্ডের তিন বোলার মার্ক উড-স্যাম কারান ও লিয়াম লিভিংস্টোন। এতে ৪ বল বাকী থাকতে ১৫৭ রানেই অলঅআউট হয় আয়ারল্যান্ড। মিডল-অর্ডারে কার্টিস ক্যাম্ফার ১১ বলে ১৮ ও গ্যারেথ ডেলানি ১০ বলে ১২ রান করেন। ইংল্যান্ডের উড ৩৪ রানে ও লিভিংস্টোন ১৭ রানে ৩টি উইকেট নেন। ৩১ রানে ২ উইকেট শিকার করেন কারান।
জয়ের জন্য ১৫৮ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে শুরুতেই মহাচাপে পড়ে যায় ইংল্যান্ড। পাওয়ার-প্লেতে ৩৭ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারায় ইংলিশরা। অধিনায়ক জশ বাটলার শূন্য, অ্যালেক্স হেলস ৭ ও বেন স্টোকস ৬ রানে ফিরেন।
শুরুর ধাক্কা সামলে উঠার চেষ্টা করেছিলেন ডেভিড মালান ও হ্যারি ব্রুক। চতুর্থ উইকেটে ৩৪ বলে ৩৮ রান তুলেন তারা। ১১তম ওভারে মালান-ব্রুক জুটি ভাঙ্গেন বাঁ-হাতি স্পিনার জর্জ ডকরেল। ২১ বলে ১৮ রান করা ব্রুককে শিকার করেন তিনি।
১৪তম ওভারে পঞ্চম ব্যাটার হিসেবে বিদায় নেন মালান। ৩৭ বলে ২টি চারে ৩৫ রান করেন তিনি। এতে ৮৬ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলায় শেষ ৬ ওভারে ৬৫ রান দরকার পড়ে ইংল্যান্ডের।
১৫তম ওভারের প্রথম বলে ছয় ও তৃতীয় বলে চারসহ ১২ রান তুলেন মঈন আলি। তাতে ১৫ দশমিক ৩ ওভারে ইংল্যান্ডের রান দাঁড়ায় ১০৫। এরপরই বৃষ্টিতে বন্ধ হয় খেলা। এসময় বৃষ্টি আইনে ইংল্যান্ডের দরকার ছিলো ১১০ রান। অর্থাৎ, ৫ রান কম ছিলো তাদের। এতে বৃষ্টি আইনে ম্যাচ জিতে নেয় আয়ারল্যান্ড।
১২ বলে ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় অপরাজিত ২৪ রান করেও ইংল্যান্ডের হার এড়াতে পারেননি মঈন। ম্যাচ সেরা হন আয়ারল্যান্ডের বলবির্নি।
আগামী ২৮ অক্টোবর নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলবে আয়ারল্যান্ড। একই দিন অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড।