বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ ২০২৩ উপলক্ষে মাতৃদুগ্ধের গুরুত্ব, উপকারিতা এবং মাতৃদুগ্ধ বিকল্প আইন ২০১৩ ও বিধি ২০১৭ বিষয়ক অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সভাকক্ষে জেলা সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মুহম্মদ মুশিউর রহমানের সভাপতিত্বে অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
ঢাকার মহাখালীস্থ জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান (ওচঐঘ) এর আয়োজনে কর্মশালাটির বাস্তবায়নে ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়।
কর্মশালায় রিসোর্স পার্সন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের বিভাগীয় প্রধান ডা. জয়নাল আবেদীন, বিভাগীয় প্রধান (ফিল্ড) ডা: মাহবুব আরেফীন, নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক ) মো. সাকিব আল রাব্বি, নারায়ণগঞ্জ খাঁনপুর ৩শ’ শয্যা হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. আবুল বাশার, নারায়ণগঞ্জ মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের উপ পরিচালক মাহবুব আলম, নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ড. শেখ ফরহাদ হোসেন, জেলার ৪টি উপজেলার আরএমও, শিশু কনসালটেন্ট , গাইনী কনসালটেন্ট, সিনিয়র স্টাফ নার্স, ওষুধ ব্যবসায়ী সমিতি নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. একেএম, মেহেদী হাসান ও সিনিয়র স্বাস্থ্যশিক্ষা কর্মকর্তা আসিফ মাহমুদ’র যৌথ সঞ্চলানায় অনুষ্ঠানের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন জেলা ইপিআই সুপারিন্টেনডেন্ট মোঃ লুৎফর রহমান ও জেলা স্বাস্থ্য তত্বাবধায়ক স্বপন কুমার দেবনাথ।
কর্মশালায় ডা. জয়নাল আবেদীন বলেন, সংশোধিত আইন অনুযায়ী মাতৃদুগ্ধ বিকল্প, শিশুখাদ্য, বাণিজ্যিকভাবে প্রস্তুতকৃত শিশুর বাড়তি খাদ্য বা উহা ব্যবহারের সরঞ্জামাদি উপরেল্লিখিত ৪ টি পণ্য আমদানী, স্থানীয়ভাবে উৎপাদন, বিপনন, প্রচার বা প্রকাশ করা যাবেনা বা এই ধরনের কাজে নিয়োজিত থাকা যাবেনা।
সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান কোন ধরনের উপহার, ডিসকাউন্ট, মূল্যহ্রাস, বিনামূল্য বা প্রলোভন দেয়া যাবেনা। কোন ব্যাক্তি এই আইনের কোন বিধান লঙ্ঘন করলে ৩ বছরের কারাদন্ড বা ৫ লাখ টাকা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডনীয় হবেন।
মাতৃদুগ্ধ বিকল্প, শিশুখাদ্য, বাণিজ্যিকভাবে প্রস্তুতকৃত শিশুর বাড়তি খাদ্য বা উহা ব্যবহারের সরঞ্জামাদির কারণে কোন শিশু অসুস্থ হলে সংশ্লিষ্ট কোম্পানীর মালিকপক্ষকে ১০ বছর কারাদন্ড বা ৫০ লাখ টাকা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডনীয় হবেন এবং অর্থদন্ড ক্ষতিপূরণ হিসেবে ক্ষতিগ্রস্ত শিশুর পরিবারকে নির্ধারিত পদ্ধতিতে প্রদান করা হবে।
ডা. মাহবুব আরেফীন জানান, সারাবিশ্বে মাতৃদুগ্ধ খাওয়ানোর হার শতকরা ৪৮ ভাগ। তার মধ্যে ধনী ও শিক্ষিত মায়েদের মাতৃদুগ্ধ খাওয়ানোর হার কম। অথচ মাতৃদুগ্ধের কারণে শিশুদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। বাংলাদেশে মাতৃদুগ্ধ খাওয়ানোর হার শতকরা ৬৫ ভাগ।
বর্তমানে দেশে প্রতি বছর ১ বিলিয়ন ডলার শিশুখাদ্য আমদানী হচ্ছে। আমরা বর্তমানে আইনটির বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের কর্মশালার মাধ্যমে অবহিত করছি। পরবর্তীতে আমরা ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করবো।