নারায়ণগঞ্জ-৪ সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, আমি বিএনপিকে বন্ধু বলতে পারি না, কারণ তারা বন্ধুত্বের যোগ্য না। আমি অবশ্যই তাদের সম্মান করি যারা গণতন্ত্রের জন্য লড়ে।
ওনারা যদি সত্যিই গণতন্ত্রের জন্য লাড়ই করেন তাহলে ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে ৩ হাজার ৩৩৬ জনকে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। আর এর মধ্যে ৫০০ মানুষ আগুনে পুড়ে মারা গেছে।
২১ জন পুলিশকে হত্যা করা হয়েছে। সংখ্যালঘু পরিবারের মেয়েদেরকে ধর্ষণ করা হয়েছে। ওরা গণতন্ত্রের কথা বলবে আর আমরা মেনে নেবো। গণতন্ত্রের নামে আমি সাধারণ মানুষকে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিবো, এটা কোন ধরণের গণতন্ত্র।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকালে মহানগর আওয়ামী লীগের আয়োজনে ১৬ সেপ্টেম্বর ‘জনসভা’ সফল করতে প্রস্তুতী মূলক কর্মী সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় শামীম ওসমান আরও বলেন, মাত্র ৩০-৩২ বছর বয়সে এসে জাতির পিতার কন্যা বাংলাদেশের হাল ধরেছে। বয়সটা তো আমার ছেলের থেকেও কম। যার পুরো পরিবারটাকে মেরে ফেলা হলো একটি ঘরে, তিনি শুধু বলছিলেন আমাকে একটু ধানমন্ডি-৩২ নম্বর এর ধরে ঢুকতে দাও।
ওই ভবনে জিয়াউর রহমান ওনাকে ঢুকতে দেয় নাই। উনি আত্মচিৎকার করেছিলেনা ২ রাকাত নফল নামাজ পরার জন্য। তাকে সেটা পরতে দেয়া হয় নাই। আমরা বঙ্গবন্ধুর হত্যার পরিবর্তে হত্যা চেয়েছিলাম। নেত্রী বলেছিলেন ‘না, আমি প্রতিশোধ নিতে আসিনি; আমি আমার বাবার স্বপ্ন পুরণ করতে এসেছি।’ ওনার কাছে মুল বিষয়টি ছিলো বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা।
তিনি বলেন, আমি তো পার্লামেন্টেই বলেছি জাতির পিতার কন্যা আপনি, আপনি চর্চা করেন গণতন্ত্রের। আপনার কথাও শুনবো না এবার। কথা গুলো এজন্য বলেছি, কারণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন আমাদের সম্পদ না।
উনি এদেশের বাচ্চাদের আগামী দিনে ভবিষ্যত। আমাদের ভবিষ্যত তো না। আমাদের তো রাজনীতি করা কথা ছিলো না। বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করতে গিয়ে রাজনীতিতে এসেছি।
শামীম ওসমান বলেন, কয়েকদিন আগে শহীদ মিনারে দেখলাম জাতির পিতার কণ্যাকে নাকি আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার করবে। ওরাই বক্তব্য দেয়, ওরাই শুনে। এরা নাকি আবার আর্ন্তরজাতিক আদালতে বিচার করবে। নারায়ণগঞ্জে ডিসি আসছে এক মাস হয় নাই। উনার সাথে দেখাও হয় নাই ঠিক ভাবে।
একটা পাঞ্জাবীও দেয়া হয় নাই, অথচ বলছে ওনারা নাকি আমার কাছ থেকে টাকা খায়। আজকে এসপি ডিসি যদি টাকা খায় তাহলে আপনি প্রপার জায়গায় অভিযোগ করেন। ডিসি এসপি যদি টাকা খেয়ে থাকে প্রমাণ থাকলে অভিযোগ করেন।
প্রধানমন্ত্রী-রাষ্ট্রপতি তাদের স্বাক্ষরে আসেন উনারা (এসপি-ডিসি)। রাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব করতে আসে, আমাদের প্রতিনিধিত্ব করতে আসে। কিন্তু আমি এমপি যদি বলি তাদের বিরুদ্ধে তাহলে সেটা তো বোমেরাং হয়ে যায়।
তিনি বলেন, হঠাৎ করে আমি টেক্স বাড়ায় দিলাম, সামনে নির্বাচন। কেনো? ‘আমি পুরো টেক্স তুলতে পাড়ি না’ কেনো পারেন না? মশার ঔষধের জন্য মানুষ রাস্তায় পড়ে মরে যাচ্ছে। বলছেন মশা মরে না, মশা অজ্ঞান হয়ে উঠে যায়। এসব কথা আসলে বিভেদ সৃষ্টি করার জন্য বলা হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি বাবু চন্দন শীল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এড. হান্নান আহমেদ দুলাল, রবিউল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম, জিএম আরমান, দপ্তর সম্পাদক এড. বিদ্যুত কুমার, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন ভুইয়া সাজনু, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি মো. জুয়েল হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হাসান নিপু, শেখ সাফায়েত আলম সানি,জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আজিজুল হক, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদমহ নেতৃবৃন্দ।