নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক এমপি আওয়ামীলীগ নেতা শামীম ওসমান বলেছেন, বিএনপিতে ভাইয়া গ্রæপের অত্যাচারের বর্হিপ্রকাশ তৃণমূল বিএনপি। আমি বারবার বলে আসছিলাম বিএনপিতে দুটি গ্রুপ বিদ্যমান। একটি আম্মা গ্রুপ অপরটি ভাইয়া গ্রুপ। আম্মা গ্রুপ মোটামুটিভাবে ভাইয়া গ্রুপের অত্যাচারে লাথি খেয়ে সাইডলাইনে চলে গেছে। আম্মা গ্রুপের সাইডলাইনে চলে যাওয়ারই বর্হিপ্রকাশ হচ্ছে তৃণমূল বিএনপি।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর জেলা সমাবেশ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
শামীম ওসমান আরও বলেন, সব দলেই ভালো খারাপ আছে। আমি ছোটো বেলা দেখেছি নারায়ণগঞ্জে জালাল হাজী সাহেব, কালাম সাহেব, তৈমূর আলম খন্দকার সাহেব ও সিরাজ সাহেব বিএনপিকে সংগঠিত করেছে। যদিও আমি তাদের আদর্শকে পছন্দ করি না। কিন্তু এরা করেছে, পরিশ্রমও করেছে। এ লোকগুলোকে সময় মতো এসে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
শামীম ওসামন বলেন, আমার মনে হয় লন্ডন থেকে বসে যিনি দেশ চালানোর চেষ্টা করছেন উনার টার্গেট রাজনীতি না। দেশটাকে অকেজো করা কিংবা অকার্যকর রাষ্ট্র করা। অকার্যকর রাষ্ট্র চালাতে যে ধরনের নেতৃত্ব দরকার উনি তাদেরকে বেছে নিয়েছেন। আর বেছে নিয়েছেন দেখেই আমার মনে হয় এ সমস্ত লোকরা একটা সময় বেরিয়ে আসবেন। এটা তো মাত্র শুরু হলো। আরও বহু লোক এ দল থেকে বেরিয়ে আসবেন।
নিজের দল আওয়ামী লীগের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ তার নিজস্ব গতিতে চলে। বিএনপি ভাঙলো কি গড়লো এটা নিয়ে আমাদের কোনো সমস্যা নাই। জাতির পিতার কন্যা দুটি জিনিসের ভরসা করেন। এক হচ্ছে সৃষ্টিকর্তা যিনি উনাকে ২১ বার হত্যা থেকে বাঁচিয়েছেন। আরেকটা হচ্ছে জনগণ যাদের দোয়ায় তিনি প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন।
শামীম ওসমান বলেন, পদ্মাসেতু হওয়ার পর আমাদের জিডিপি দশের ওপরে চলে যেত যদি রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ না হত। বিশেষজ্ঞরা বলছে বাংলাদেশ ২০৪০ সালের মধ্যে বিশ্বের প্রথম দশটি ধনী দেশের একটি হবে।
তিনি আরও বলেন, আরেকবার সুযোগ যদি পাই। আমি আপনাদের কাছে অনুরোধ করতে চাই আনসারে কী কী সমস্যা আছে আমাকে একটু লিখে দিবেন। আমি শান্তি পাব যদি আমি জাতীয় সংসদে আপনাদের পক্ষে কোন কথা বলতে পারি।
তিনি বলেন, আমার রাজনীতি করার কথা না৷ চন্দনের দু পা হারানোর কথা ছিল না। বাংলাদেশ আজ অন্য পর্যায়ে থাকার কথা ছিল। আমরা বেইমানি করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মেরেছি। শুধু তাকে নয় পুরো পরিবারকে মেরে ফেলা হয়েছে। আপনি যদি শেনেন আপনার পরিবারের আপনি ছাড়া সকলকে মেরে ফেলেছে আপনার কী হবে। হয় আপনি পাগল হবেন নয়ত আপনি খুনি হবেন।
এ সময় সঙ্গে ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দনশীলসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।