নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির কর্মসূচিতে যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের পদবঞ্চিতদের হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ, যানবাহন ভাংচুর, জনমনে আতংক ও ত্রাস সৃষ্টিসহ সাংবাদিকদের উপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মফিজুর রহমান বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ৩৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ২০০/৩০০ জনকে।
শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আনিচুর রহমান বলেন, থানার উপপরিদর্শক মফিজুর রহমান বাদি হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে মামলাটি দায়ের করেছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক টীমের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার বিকালে আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মুখে কালো কাপড় বেঁধে মৌন মিছিলের জন্য নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হতে থাকে নেতাকর্মীরা। এসময় নেতৃবৃন্দের বক্তব্য চলাকালে বিকাল ৪টার দিকে লাঠি-সোঠা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায় মহানগর যুবদলে পদবঞ্চিত মাজাহারুল ইসলাম জোসেফ সমর্থকরা। এসময় তারা নেতাকর্মীদের এলোপাথারী লাঠিপেটা করে। এবং ব্যানার, ফেস্টুন ছিড়ে ফেলে এবং মাইক ভাংচুর করে। এক পর্যায়ে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্কের সৃষ্টি করে হামলাকারীরা। পরে ব্যাটারী চালিত একটি স্কুটারসহ নগরীর প্রধান সড়কে কয়েকটি যানবাহন ভাংচুর করে। এসময় পথচারী, সাংবাদিকসহ কমপক্ষে ১০ জন বিএনপির নেতাকর্মী আহত হয়েছে। পরে পুলিশ টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
দলীয় সূত্রমতে, মঙ্গলবার কেন্দ্রীয়ভাবে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর যুবদল এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক কমিটি ঘোষনা করা হয়। ঘোষিত কমিটির শীর্ষ পদে স্থান পায়নি মহানগর যুবদল নেতা মাজারুল ইসলাম জোসেফ। এ নিয়ে সে এবং তার সমর্থকরা ক্ষুব্ধ হয়। এবং মহানগর বিএনপির কর্মসূচিতে হামলা চালিয়েছে। হামলাকারীদের সমর্থনে ছিলেন, মহানগর বিএনপি, মহানগর যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলে পদ না পাওয়া নেতাদের কর্মীরা।