বুয়েন্স আয়ার্সের এস্তাদিও মনুমেন্তালে ম্যাচ কেবল শেষ হয়েছে। আর্জেন্টিনার কাছে যেখানে রীতিমত ছেলেখেলার শিকার হয়েছে ব্রাজিল। ম্যাচের ফলাফল বলছে সেলেসাওরা হেরেছে ৪-১ গোলে। কিন্তু আর্জেন্টিনার ভাগ্য কিছুটা সুপ্রসন্ন থাকলে ম্যাচটা ব্রাজিল হারতে পারতো আরও বড় কোনো ব্যবধানে। আর এমন এক হারের পর চাপ বেড়েছে কোচ দোরিভালের ওপর।
ব্রাজিলের গণমাধ্যমের ভাষ্য, আর্জেন্টিনার কাছে ৪-১ গোলে হারের পর অতীতের যেকোন সময়ের তুলনায় দোরিভাল জুনিয়রের ওপর চাপ সবচেয়ে বেশি বেড়ে গিয়েছে। এমনকি ব্রাজিলের ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিবিএফ এরইমাঝে বিকল্প কোচের সন্ধান শুরু করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, দোরিভাল জুনিয়রের বরখাস্ত হওয়া এখন সময়ের ব্যাপার। যদিও ভিন্ন মতও আছে ব্রাজিল ফুটবলের এই সিদ্ধান্তের পক্ষে।
সিবিএফের বেশিরভাগ পরিচালকই মনে করেন জুন-জুলাইয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের সময়েই দোরিভালকে বরখাস্ত করা প্রয়োজন। যদি এই সময়টা এগিয়ে আনা হবে কি না, সেটা নিয়ে পরিচালকদের মাঝেই দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে। সভাপতি এদনালদো রড্রিগেজের সঙ্গে এরইমাঝে কোচ দোরিভালের দূরত্ব বেড়েছে বলে খবরে প্রকাশ পেয়েছে। যদিও বিগত কিছুদিন এদনালদো নিজের ফুটবল সভাপতি নির্বাচনে ব্যস্ত থাকায় এসব বিষয়ে কোনো পরিষ্কার সিদ্ধান্ত আসেনি।
এদিকে ব্রাজিলের কোচ নিজেও আর্জেন্টিনার কাছে এমন হারের পর নিজের কাঁধে দায় তুলে নিয়েছেন। ম্যাচ শেষে বলেছেন, ‘প্রথম মিনিট থেকেই আমাদের পরিকল্পনা কাজে লাগেনি। যা ঘটেছে, তাতে স্বীকার করতেই হবে, আমাদের একেবারে বিধ্বস্ত করেই তারা যোগ্যতর দল হিসেবে জিতেছে। সন্দেহ নেই আমরা ঘুরে দাঁড়ানোর পথ বের করতে পারব।’
যদিও দিনকয়েক আগেই ব্রাজিল ফুটবলের ফেডারেশনের সভাপতি এদনালদো জানিয়েছেন, তখন পর্যন্ত সিবিএফ ব্রাজিলের কোচের পদে দোরিভালকে দেখতে আগ্রহী। আর্জেন্টিনার বিপক্ষে হারের পর অবশ্য তাদের সেই মানসিকতায় পরিবর্তন এসেছে কি না তা জানা যায়নি।
এখন পর্যন্ত ব্রাজিলের কোচ হিসেবে দোরিভাল মাঠে নেমেছেন ১৬ বার। যার মধ্যে ড্র ৭ ম্যাচে। জয় ৭ ম্যাচে। দুই ম্যাচেও হেরেছে ব্রাজিল। আর বিশ্বকাপ বাছাইয়ে কনমেবল অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ব্রাজিলের অবস্থান চার। ঝুলিতে আছে মোটে ২১ পয়েন্ট।