বন্দরের লাঙ্গলবন্দ বাসস্ট্যান্ড হালুয়াপাড়া সড়কের সংস্কারের এক বছরের মধ্যেই ধ্বসে পড়ে চরম দুর্ভোগে ধামগড় ইউনিয়নের দুই ওয়ার্ডের বাসিন্ধারা। কামতাল গ্রামের মতি মিয়ার বাড়ির সামনে প্রায় ৩শ গজ রাস্তার অর্ধেক ধ্বসে পড়ে দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে।
সোমবার (৩১ অক্টোবর) সরজমিনে দেখা যায়, সড়কটি ধ্বসে পড়ায় জনসাধারণের চলাচলের এক মাত্র বাহন অটো, রিকশা ও মালামাল বহনকারি পিকআপ ভ্যান উল্টে ঘটছে দূর্ঘটনা। এতে গার্মেন্ট শ্রমিক,স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থী ও রোগীবাহী প্রাইভেটকার সহ আহত হন প্রায় অর্ধশত।
গত এক সপ্তাহে লাশ বাহী এ্যাম্বলেন্স, পিকআপ ভ্যান, ভ্যানগাড়ি উল্টে ১২/১৩ টি দূর্ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয়রা জানায়।
স্থানীয় মুদি দোকানদার জনান, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসরকের লাঙ্গলবন্দ বাসস্ট্যান্ড মসজিদ টু হালুয়াপাড়া ভায়া কাজিপাড়া বাজার সড়কের সংস্কার কাজ শেষ হতে না হতেই মতি মিয়ার বাড়ির সামনে ফাটল সৃষ্টি হয় পরে তা প্রায় তিন ফুট গভীর গর্তে পরিনত হয়।
১১ ফুট প্রস্ত রাস্তার অর্ধেক অংশ ও প্রায় ৩শ ফুট দৈর্ঘের রাস্তাটি গর্তে পরিনত হয়েছে। এতে মালামাল বহনকারি পিকআপ ভ্যান, লাশ বাহী গাড়ি, পন্যবাহী ভ্যান অটোরিকশা চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এক সপ্তাহে প্রায় মালবাহী মিনি ট্রাক, পিকআপ ভ্যান, লাশবাহী, রোগীবাহী এ্যাম্বলেন্স উল্টে, আটকা পড়ে সাধারণ মানুষ চলাচলে দূর্ভোগের শিকার হয়েছে। এছাড়াও অটো রিকশা উল্টে গার্মেন্ট শ্রমিক, স্কুল কলেজ ও মাদরাসা শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ ও দুইজন ব্যবসায়ী ৎসহ আহত হয় প্রায় অর্ধশতাধিক।
কামতাল গ্রামের বাসিন্দা মো: বারেক প্রধান জানান, শুক্রবার রাতে পিকআপ ভ্যান তুলে প্রতিবেশীর লাশ নিয়ে আসার সময় গাড়ি উল্টে দূর্ঘটনার শিকার হয়েছি।
এ ব্যপারে ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন জানান, রাস্তাটি এলজিআরইডি মেরামত কাজ করেছে। ঘনঘন বৃষ্টিপাতে রাস্তাটির মাটি পুকুরে ধ্বসে পড়েছে। জনগনের সুবিধার্থে রাস্তাটি পুনরায় মেরামতের কাজের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।