বন্দর(নারায়নগঞ্জ)উপজেলা সংবাদদাতা: নারায়ণগঞ্জের বন্দরে তিন ফসলি জমির মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করার বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামিলীগ সন্ত্রাসী বাহিনী কর্তৃক আঘাতে বিএনপি নেতাসহ ১০জন আহত হয়েছে। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও সন্ত্রাসীরা পুলিশকে উপেক্ষা করেই বিভিন্ন মাধ্যমে হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির যুবদল সভাপতি জাহিদ হাসান পাপ্পু বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামী করে স্থানীয় থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং ২ বাৎসরিক নাম্বার ৩৭৭ তারিখ ০১-১২-২৪ইং। মামলার আসামী আমানউল্লাহ, বাহাউদ্দীন, আহাদ আলী, সোহান,লাভলী,মিজান প্রধান।
১লা ডিসেম্বর শনিবার দুপুরে উপজেলার পিচকামতাল এলাকার জহিদ্দার বিলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তারা মিয়া জানান, শনিবার দুপুরে আমান উল্লাহর সেচ কাজে বাধা দেয় এলাকাবাসী। তবে গ্রামবাসীকে সমর্থন জানিয়ে তাদের সঙ্গে সমর্থন জানান মুছাপুর ও ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির নেতৃবৃন্দ। এই সময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।
তিনি আরো বলেন, প্রতি বছর শুষ্ক মৌসুমে অত্র এলাকার তিন ফসলী মাটি কেটে ইট ভাটায় বিক্রি করে আওয়ামীলীগ নেতা আমান উল্লাহ সহ তার সন্ত্রাসী বাহিনী। এবার যেনো মাটি কাটতে না পারে সেজন্য পুলিশ নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বাধা দেন। তখন আমান উল্লাহর বাহিনীর সন্ত্রাসী মুছাপুর ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি বাহাউদ্দীন পুলিশের সামনেই তাকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে।ওই সময় পাশের পুকুরে লাফ দিয়ে তিনি প্রানে রক্ষা পায়। আর তখনই এলাকাবাসীর সাথে আমানউল্লার সন্ত্রাসী বাহিনীর সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষের ঘটনায় সভাপতি তারা মিয়া, জাহিদ খন্দকার ও জাহিদ হাসান পাপ্পুসহ ১০ জন আহত হন।
বন্দর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন,জহিদ্দার বিলে স্থানীয় মুছাপুর ইউনিয়ন বাজুরবাগ এলাকার মৃত তমিজউদদীনের ছেলে আমান উল্লাহ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে পানি উত্তোলন করে ইরি প্রকল্পে পানি সরবরাহ করেন। এতে পাম্পের পানি যে স্থানে পড়ে সেখানে বিরাট গর্তের সৃষ্টি হয়ে ভাঙ্গন দেখা দেয়। এছাড়া শুষ্ক মৌসুমে আমানউল্লাহ গং তিন ফসলি জমির মাটি কেটে ইট ভাটায় বিক্রি করে।
এ নিয়ে স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছে। বিষয়টি এলাকাবসী পূর্ব থেকেই কয়েকবার অবহিত করেছে।