বন্দর প্রতিনিধঃ- নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়ন ২নং ওয়ার্ড জাতীয় পার্টির নেতা সোহেল মেম্বারের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক বসত বাড়ি দখল ও গাছ কেটে দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আবুল কাসেম, পিতা-মৃত আব্দুল মজিদ, স্থায়ী ঠিকানা- সাং-ছোট পাইকুড়া,থানা-মহনগঞ্জ, জেলা-নেত্রকোনা, বর্তমান ঠিকানা-মুছাপুর ইউপি পিচকামতাল,বন্দর, নারায়নগঞ্জ বাদী হয়ে ৪ জনকে বিবাদী করে স্থানীয় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। থানা সূত্রমতে, বিবাদী (১) সোহেল মেম্বার (৩৮), (২) মোঃ জুয়েল (৩৬) উভয় পিতা-মোস্তফা (৩) মোঃ সেজল(৬০) পিতা মৃত তালেব হোসেন (৪) মোসাৎ শাহিদা, স্বামী- মোস্তফা, উভয় সাং-লাঙ্গলবন্দ, থানা-বন্দর, জেলা-নারায়নগঞ্জ। বাদী আবুল কাসেমের সাথে বিবাদীগনের বসত বাড়ি নিয়ে পূর্ব শত্রুতা চলিয়া আসিতেছে। তারই ধারাবাহিকতায় সি এস/এস এ দাগ৩৩৪,৩৩৫ আর এস দাগ-৯২৫ নং দাগে ৬৫ শতাংশ জমি হইতে ২৫বছর পূর্বে দেলোয়ার হোসেন নামের জনৈক ব্যাক্তি হাসনা আরার নিকট থেকে ০৩+২ শতাংশ সহ মোট ০৫ শতাংশ জায়গা ক্রয় সূত্রে মালিক হয়ে ২৭-১২-১৫ ইং নামজাড়ি খাজনা আদায়ে বাড়িঘর নির্মান করে বসবাস করতে থাকেন। গত ৩০-০৫-২৮ইং ৪নং বিবাদী হাসনা আরা আমার সাফ কবলা দলিল মূলে ক্রয়কৃত জায়গা নিজের বলে দাবী করে। ফলে বাবাদীগন আমার ক্রয়কৃত জায়গা জোড়পূর্বক দখল করার চেষ্টা করে।পরবর্তীতে গত ১৬-১১-১৯ইং স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গের উপস্থিতিতে ১ ও ৪নং বিবাদী একই দাগের ১.৫০ শতাংশ জায়গা বিক্রি বাবদ বাদীর নিকট থেকে ১৫০০০০/(এক লক্ষ পঞ্চাশ) হাজার টাকা বুঝিয়া নেন। এবং কিছুদিন পর সাব কবলা রেজিষ্ট্রি করিয়া দিবে বলে সময় নেন। পরে বিবাদীগনক বহু অনুনয় বিনয় করা সত্বেও তার রেজিষ্ট্রি করিয়া দিচ্ছে না। গত ৩০-১১-২৩ইং বিকেল আনুমানিক ০৩.০০ ঘটিকার সময় বিবাদীগন জোড়পূর্বক বাদীর বাসার সামনের লোহার গেইট,উত্তর পশ্চিম দিকের ইটের দেয়াল ভেঙ্গে ফেলে। সেসময় বাদীর অনুপস্থিতিতে মেয়ে জুলিয়া ও সুবর্না বিবাদীদের বাধা প্রদান করে। তাতে করে মেয়েদের জামা-কাপড় টেনে হিচরে শ্লীলতাহানী সহ এলোপাতাড়ি চর থাপ্পড় মেরে নীলাফুলা জখম করে। এ বিষয়ে থানায় মামলা নিতে গেলে সোহেল মেম্বারের দাপটে কর্তৃপক্ষ মামলা অনিহা প্রকাশ করে। তারই সূত্রধরে গত ০৩-১০-২৪ইং আনুমানিক বিকেল ০৪.০০ ঘটিকার সময় বিবাদীগন অনধিকার প্রবেশ করে বাদীর বাড়িতে ঢুকে আট দশটি লিচু গাছ কাটিয়া ফেলে দেয়। এলাকার লোকজন আসিয়া বাধা প্রদান করিলে তাদেরকেও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হুমকি ধামকি দেয়। এবং বলে যায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুললে হত্যা সহ খুন গুম করিয়া ফেলিবে। বাদী আরো জানান যে, বাড়িটি বহুতলা ভবন নির্মান করতে ব্যাংকে মরগেজ দেওয়া আছে। অথচ বিবাদী সোহেল মেম্বার জাতীয় পার্টির একজন প্রভাবশালী নেতা। এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবী। তাই বাদী আবুল কাসেম বিবাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা চেয়েছেন।