বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:৪৭ অপরাহ্ন

বন্দরে প্রকাশ্যে অস্ত্রবাজ কাজী সোহাগ, গ্রেপ্তার করছে না পুলিশ, আতঙ্কে এলাকাবাসী

  • আপডেট সময় শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫, ১২.০৭ পিএম
  • ৬ বার পড়া হয়েছে

বন্দর প্রতিনিধি: বন্দর সিএনজি স্ট্যান্ডের দখল নিতে গিয়ে ধাওয়া খেয়ে পিস্তল উচিয়ে গুলি ছোড়ার ঘটনার মামলার প্রধান আসামি কাজী সোহাগ প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও রহস্যজনক কারণে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে পারছেনা।
পুলিশের ভাষ্যমতে তাকে গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত আছে। কিন্তু আইনের ভাষায় সে এখন পলাতক রয়েছে।
বৃহস্পতিবার ৩০ জানুয়ারি সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বন্দরের ২২নং ওয়ার্ডে অবস্থিত সিরাজদৌলা ক্লাব মাঠে টাঙ্গাইল মডেল স্কুল এন্ড ক্যাডেট একাডেমির বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়। ওই অনুষ্ঠানে মঞ্চে বেশ কয়েকবার কাজী সোহাগকে ঘুরাফেরা করতে দেখা গেছে। সাদা রঙের কালো ঠোরা কাটা সোয়াটার পরিহিত অবস্থায় তাকে সেখানে দেখা গেছে। অনুষ্ঠান শেষে তাকে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির সাথেও কথা বলতে দেখা গেছে। প্রকাশ্যে অস্ত্র উচিয়ে গুলি ছুড়ার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান ও অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি। আসামিরা পলাতক রয়েছে।
তবে টাঙ্গাইল মডেল স্কুল এন্ড ক্যাডাট একাডেমির বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠানে সোহাগকে দেখতে পাওয়া যাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, এমন কোনো মেসেজ আমাদের কাছে ছিলো না। আসামিদের গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য গত ২১ জানুয়ারি সন্ধ্যা বন্দর সিএনজি স্ট্যান্ড দখল নিতে লোকজন নিয়ে মহড়া দেয় কাজী সোহাগ এ সময় তারা বেশ কয়েকটি সিএনজি ভাঙচুর করে। এঘটনায় গত ২২ জানুয়ারি বন্দর থানায় কাজী মাহবুব সোহান ওরফে কাজী সোহাগ সহ ৮ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৫০ জনকে অভিযুক্ত করে সিএনজি স্ট্যান্ড এর চালক সমিতির যুগ্ম-সম্পাদক আনোয়ার মোল্লা একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে কাজী মাহবুব সোহান ওরফে কাজী সোহাগ সহ ৮জনের নাম উল্লেখ ও ৫০জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্ত বাকিরা হলো কাজী সোহাগের ভাই স্বদেশ, সিরাজদৌল্লাহ ক্লাব সংলগ্ন মিয়া বাড়ির মৃত গরিব উল্লাহর ছেলে আকাশ, খান বাড়ির মো. রশিদের ছেলে কিমন খান, মদনগঞ্জ এলাকার নায়েব আলীর ছেলে মো. রশিদ, দড়ি সোনাকান্দা এলাকার আশরাফ উদ্দিনের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম ওরফে কালা জাহাঙ্গীর, আদমপুর জিওধারা এলাকার ইউসুফের ছেলে শাহীন, র‌্যালি আবাসিক এলাকার কালু মিয়ার ছেলে আব্দুর রহমান। অভিযোগের ৫দিন পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হওয়া গুলি ছুড়ার ভিডিও পর্যবেক্ষনের পর ২৭ জানুয়ারি অভিযোগটি মামলা আকারে গ্রহণ করেন বন্দর থানা পুলিশ। মামলা নাম্বার ৩৭/১/২০২৫।
প্রসঙ্গত, কাজী সোহাগের বিরুদ্ধে এর আগে একাধিকবার বন্দর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। বন্দর খেয়াঘাট সংলগ্ন কাঠপট্টি এলাকায় একজন গ্যারেজ মালিককে গ্যারেজ ব্যবসা তাকে বুঝিয়ে দিতে হুমকি প্রদর্শন করে। অন্যথায় তাকে মাটিতে মিশিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই গ্যারেজ থানায় অভিযোগ করলেও কোনো মামলা গ্রহণ করা হয়নি।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2021 rudrabarta24.net
Theme Developed BY ThemesBazar.Com

sakarya bayan escort escort adapazarı Eskişehir escort