বন্দরে নিখোঁজের তিনদিন পর সৌরভ নামে সাত বছর বয়সের এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার কুঁড়িপাড়া এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পরিবারের দাবি, পারিবারিক বিরোধের জেরে শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত সৌরভের মা গার্মেন্টস কর্মী কুলসুম জানান, পারিবারিক বিষয়ে সৌরভের বড় ভাই সানি ও তার স্ত্রীর মধ্যে প্রায় সময় ঝগড়া বিবাদ হতো। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। গত মঙ্গলবার সকাল নয়টায় কুলসুম কাজে চলে যান।
সৌরভের বাবা সালাহ উদ্দিনও ঢাকায় নিজের কাজে ছিলেন। দুপুরে কুলসুম খাবার খেতে বাসায় এসে জানতে পারেন সৌরভ বাইরে খেলতে গিয়ে আর ফিরেনি। পরে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করলেও সৌরভের কোন হদিস মেলেনি। এরপর থেকে নিখোঁজ থাকে সৌরভ।
তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার বেলা এগারোটার দিকে বাড়ির পেছন থেকে পঁচা দূর্গন্ধ ছড়ালে এলাকাবাসী ও স্বজনরা থানা পুলিশকে জানায়। খবর পেয়ে পুলিশ বাড়ির পেছনে একটি পরিত্যক্ত স্থান থেকে সৌরভের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য সদর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।
নিহত সৌরভের মা কুলসুম ও বাবা সালাহ উদ্দিনের দাবি, সৌরভের বড় ভাইয়ের শ্বশুর বাড়ির লোকজন পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তারা।
জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ বিল্লাল হোসেন জানান, শিশুটি নিখোঁজের পর পরিবারের পক্ষ থেকে কোন জিডি করা হয়নি। তবে তারা মৌখিক অভিযোগ দিয়েছেন। সেই অভিযোগ আমলে নিয়ে নিহত সৌরভের বড় ভাই সানির শ্বশুর বাড়ির পরিবারের চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে যথাযথ আাইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। নিহতের লাশের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর সুনির্দিষ্ট কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।