নারায়ণগঞ্জের বন্দরে পূর্ব শত্রæতার জের ধরে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় মহিলা ও শিশুসহ উভয় পক্ষের ১০ জন রক্তাক্ত জখম হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ওই সময় হামলাকরিরা আওয়ামীলীগ নেতা হাজী আহাম্মেদ মাইনউদ্দিন তুষারের কার্যালয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছবি ভাংচুর করে ১ লাখ টাকা ক্ষতি সাধনসহ বেশকয়েকটি বাড়ি ঘড় ভাংচুর চালিয়ে লুটপাট করে পালিয়ে যায়।
ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (১২ ডিসেম্বর) রাত ৯টায় বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের বুরুন্দী এলাকায়।
সংঘর্ষের ঘটনায় আহতরা হলো এনামুল হাসান রিন্তু (১৯) তার পিতা নিজাম উদ্দিন (৫২) নুরুল আমিন (৩৪) শাহ আলম (৪২) হাজী মরজল (৭৫) হাজী নাছির উদ্দিন (৬০) হাজী কবির হোসেন (৪৮) শাওন (২১) মনি বেগম (২২) ও তার শিশু সন্তান মোয়াজ (৪)। স্থানীয় এলাকাবাসী আহতদের মারাত্মক জখম অবস্থায় উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল ও ঢামেক হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।
সংঘর্ষের ঘটনার সংবাদ পেয়ে বন্দর থানার অফিসার ইনর্চাজ আবু বকর ছিদ্দিক দ্রæত ঘটনাস্থল পরিদর্শন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ ঘটনায় এনামুল হক রিন্তু ও হাজী নাছির উদ্দিন বাদী হয়ে ঘটনার ওই রাতে ঊভয় পক্ষ বন্দর থানায় পৃথক লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
আহত এনামুল হাসান রিন্তু অভিযোগের তথ্য সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার রাতে বন্দর উপজেলার বুরুন্দী এলাকার মৃত হোসেন আলী মিয়ার ছেলে হাজী কবির হোসেন একই এলাকার মৃত সোহরাব মিয়ার ছেলে হাজী নাছির একই এলাকার মৃত মোস্তফা মাদবরের ছেলে হাজী সুমন প্রধান, নাসির উদ্দিন মিয়ার ছেলে শাওন বুরুন্দী এলাকার মরজল হক মিয়ার ছেলে নাসির উদ্দিন ও মফিজুল ইসলামের ছেলে শিহাবসহ অজ্ঞাত নামা ২০/২৫ জন সন্ত্রাসী পূর্ব শত্রæতার জের ধরে ধারালো অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে কলাগাছিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা হাজী আহাম্মেদ মাইনউদ্দিন তুষারের কার্যালয়ে অতর্কিত হামলা চালায়।
ওই সময় উল্লেখিত হামলাকারিরা সমাজিক সংগঠনের কার্যালয়ে থাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ৪ আসনের এমপি শামীম ওসমানের ছবি ভাংচুর চালিয়ে একটি এলইডি টিভি লুটকরে নিয়ে যায়। ওই সময় হামলাকারিদের বাধা দিতে গিয়ে অভিযোগের বাদী ও মহিলা এবং শিশুসহ উল্লেখিতরা মারাত্মক ভাবে আহত হয়।
কাউন্টার অভিযোগের বাদী হাজী নাসির মিয়ার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কলাগাছিয়া ইউনিয়নের বুরুন্দী এলাকার বাসিন্দা মৃত জসিম উদ্দিন মিয়ার ছেলে বিবাদী আহাম্মেদ মাইনউদ্দিন তুষার একই এলাকার নিজাম উদ্দিন মিয়ার ছেলে এনামুল হাসান রিন্তু, একই এলাকার মৃত মনসুর আলী মিয়ার ছেলে শাহিন, পিয়ার জাহান মিয়ার ছেলে পিয়াস, হাসেম মাষ্টারের ছেলে সজীব গংদের সাথে শাহিনগং এর সাথে দীর্ঘ দিন ধরে আমাদের সাথে পূর্ব বিরোধ চলে আসছিল। গতসোমবার রাত পৌনে ৯টায় উল্লেখিত বিবাদীসহ অজ্ঞাত নামা ৫/৬ জন বুরুন্দী এলাকার জনৈক কামাল মিয়ার চায়ের দোকানের সামনে এসে লাঠিসোটা নিয়ে অকথ্য ভাষা গালাগালি করে।
ওই অভিযোগের বাদী ভাই হাজী কবির হোসেন, হাজী মরজল হক ও নাতি শাওন গালাগালি করতে নিষেধ করিলে উল্লেখিত বিবাদীরা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার ভাই ও নাতিকে বেদম ভাবে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে পালিয়ে যায়। পরে আহতদের উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ ঢামেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় উক্ত এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ব্যাপারে বন্দর থানার ওসি আবু বকর ছিদ্দিক জানান, সংঘেল ঘটনার খবর পেয়ে আমি দ্রæত ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থি নিয়ন্ত্রনে আনি। সংঘর্ষের ঘটনায় উভয়পক্ষে থানায় পৃথক অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযোগের তদন্তকারি কর্মকর্তা অভিযোগ তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।