গতকাল বুধবার নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানার শান্তিনগর এলাকায় ঘর থেকে ডেকে নিয়ে খোরশেদ আলমের ছেলে আনোয়ার হোসেন আনার (২৭) কে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথার ও গলায় এলোপাথাড়ি কুপিয়ে তার সারা শরীরে এসিড ঢেলে নদীর পাড়ে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় তারই বন্ধুরা।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, তার দাদি সাজেদা বেগম ও তার পিতা খোরশেদ আলম বলেন, বুধবার সন্ধ্যার পর এক সাথে বসে (মুরাদ, আনার) দুই বন্ধু মিলে আমার বাড়িতে এসে কাঁঠাল খায়। রাত ১০ টার দিকে মুরাদ (২৬) ও অজ্ঞাত (২৭) আরেক বন্ধু ঘর থেকে আনারকে ডেকে নিয়ে যায়। আমরা তখন কিছুই বুঝতে পারিনি। তারা যে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার ছেলেকে নিয়ে যাচ্ছে। তারা আমার ছেলেকে কুপিয়ে জখম এবং সারা শরীর এসিডে দিয়ে জলসে দিয়ে নদীর পাড় ফেলে রেখে চলে যায়।
পরদিন ১৩ জুন রবিবার সকাল ছয়টায় শান্তিনগর এলাকার গুচ্ছ গ্রামের সাবেক সভাপতি তাওলাদ হোসেন (টিয়া) এর ছেলে জনি নদীর দাঁড়ে গেলে আনারকে এ অবস্থায় দেখতে পেয়ে চিনতে পেরে, তার পিতা খোরশেদ আলম কে কল দিয়ে জানান, তার ছেলে নদীর ধারে পড়ে আছে, তাড়াতাড়ি আসেন, তার অবস্থা খারাপ। তড়িঘড়ি করে তিনি ও তার স্ত্রী এবং তার মা গিয়ে সেখানে গিয়ে আনার কে উদ্ধার করেন। প্রথমে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাহাকে ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে নেওয়ার জন্য রেফার্ড করেন। দ্রুত ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে নিয়ে ভর্তি করান। তার অবস্থা খুবই আশংকা জনক। বর্তমানে শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন আছেন। তার বাবা কান্না কন্ঠে বলেন, আমার ছেলে মনে হয় আর বাঁচবে না, আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।