নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বন্দরে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে কোটি টাকা আত্মসাৎ করতে প্রবাসীকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে আব্দুল আজিজ ও হারুন অর রশিদ গং এর বিরুদ্ধে।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) বিকালে উপজেলার মুছাপুর এলাকায় নিজ বাড়িতে ভুক্তভোগীরা এ তথ্য জানান।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কবির হোসেন একজন ইতালি প্রবাসী। দীর্ঘ ২৫ বছর যাবৎ তিনি প্রবাস জীবনে কর্মরত আছেন। প্রবাসে থাকা অবস্থায় তিনি প্রায় ১ কোটি টাকা তার বাবা আব্দুল আজিজের একাউন্টে পাঠান নিরাপদ ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে।বর্তমানে তিনি দেশে এসে তার বাবার কাছ থেকে সেই পাঠানো টাকা চাইলে তিনি তাকে বিভিন্ন ভাবে সময় নিয়ে ঘুরাতে থাকে। এক পর্যায়ে কবির হোসেন আবারও তার কাছে টাকা চাইলে তাকে হুমকি ধুমকি দিতে শুরু করেন তার বাবা আব্দুল আজিজ ও তার ভাই হারুন অর রশিদ গং। এ ঘটনায় কবির হোসেন বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে বন্দর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের বিষয়টি জানতে পেরে গত ১ অক্টোবর অভিযুক্ত আব্দুল আজিজ ও হারুন অর রশিদ গং মিমাংসার কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে শাসনেরবাগ একতা ব্রিক ফিল্ডে হত্যার উদ্দেশ্য কবির হোসেনকে এলোপাথারি কিল ঘুষি মেরে শরীলের বিভিন্ন স্থানে নীলা ফুলা জখম করে ও লোহার রড, কাঠের ডাসা দিয়ে পিটিয়ে বাম পা ভেঙে দেয় ও ইট দিয়ে বাড়ি মেড়ে বাম হাত ও কোমরে রক্তাক্ত যখম করে গুরুতর আহত করে। এসময় তার ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় আব্দুল আজিজ ও হারুন অর রশিদ গং এর বিরুদ্ধে বন্দর থানায় পরপর ৩টি অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীরা।
অভিযুক্তরা হলেন, বন্দরের মুছাপুর ইউনিয়নের শাসনেরবাগ এলাকার জাহের আলীর ছেলে আব্দুল আজিজ মিয়া (৬০) ও আব্দুল আজিজ মিয়ার ছেলে হারুন অর রশিদ (৪২), মুছাপুর এলাকার আব্দুল করিম বেপারীর ছেলে জসিম (৩৭) ও জহির (৪০)।
ইতালি প্রবাসী আহত কবির হোসেন বলেন, আমি দীর্ঘ ২৫ বছর যাবৎ প্রবাস থেকে আমার কষ্টার্জিত প্রায় এক কোটি টাকা আমার বাবা আব্দুল আজিজের একাউন্টে পাঠাই। আমি দেশে এসে যখন ওনার কাছে আমার পাঠানো টাকা চাই তখন উনি আমাকে দেই দিচ্ছি করে নানান ভাবে তালবাহানা করে সময় ক্ষেপন করতে থাকে, এরও কিছুদিন পর আমি আবার ওনার কাছ থেকে টাকা চাইলে ওনি এবং হারুন অর রশিদ গং আমাকে নানানভাবে হুমকি-ধমকি দিতে থাকে। যে জন্য আমি বন্দর থানায় একটি অভিযোগ করলে তারা আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধোর করে আমার একটি পা সম্পূর্ণ ভেঙে দেয় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম করে। সে সময় আমার ডাক চিৎকারে যদি স্থানীয়রা এগিয়ে না আসতো তাহলে তারা আমাকে সেখানেই মেরে ফেলে দিতো। আমি বিগত ১৫ দিন ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলাম। বর্তমানে আমি ও আমার পরিবার সম্পূর্ণ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এবং আমি আরও আশঙ্কা করছি তারা আমার পাঠানো সম্পূর্ণ টাকা আত্মসাৎ এর পাঁয়তারা করছে। তাই আমি প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম জানান, অভিযোগটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা অনতিবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেফতারের জোর দাবী জানিয়েছেন সেনাবাহিনী ও নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের নিকট।