বন্দর উপজেলা আইন-শৃংখলা কমিটির মাসিক সভার সিদ্ধান্ত চার দেয়ালেই বন্দি থাকে বাস্তবায়ন হয় না বলে দাবি করেছেন আইন-শৃংখলা কমিটির সদস্যরা। গত রোববার বন্দর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আইন-শৃংখলা কমিটির মাসিক সভায় এ মন্তব্য করা হয়।
একাধিক সদস্য বলেন, বর্তমানে বন্দরে আইন শৃংখলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটছে। চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, হত্যা, ইভটিজিং, মাদক, চাঁদাবাজি, অবৈধ ড্রেজার, ফসলিজমি ভরাটসহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ড আশংকাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
বক্তাদের অভিযোগ প্রতি মাসেই বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা করি কিন্তু বাস্তবায়ন হয়না এই চার দেয়ালেই তা বন্দি থাকে। রোববার সভায় এক সময়ের একজন বেবি চালক থেকে বর্তমানে বন্দরের শীর্ষ সন্ত্রাসী ও কিশোর গ্যাং লিডার রাজু আহম্মেদ(ষ্ট্যান্ড রাজুকে) নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়।
দীর্ষ দিন পলাতক থাকার পর হঠাৎ করে গত শনিবার বন্দরে ১৩ থেকে ১৬ বছরের শত শত কিশোরদের নিয়ে বন্দরে শোডাইন করে। যা দেখে জনমনে আতংক ছড়িয়ে পরে।
তাও আবার নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান এবং বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ রশিদের ছবি সংযুক্ত ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে শোডাইন করে। মেরাজ হত্যাকান্ডের পর থেকে রাজু আত্মগোপনে ছিল।
অপরদিকে ফরাজিকান্দা এলাকার জামাইখ্যাত পুলিশের সোর্স আজাহারের বিরুদ্বে বন্দরের বিভিন্ন এলাকায় পাঁচটি ভেকু চালিয়ে কৃষি জমি ভরাট করারমতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।
জমির মালিককে না জানিয়ে জমি ভরাট করে জমির মালিকের কাছে গিয়ে ভরাটের টাকা দাবি করছে। ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা আদায় করছে।
কৃষক টাকা দিতে না পারলে উক্তজমি হতে মাটি তুলে অন্যত্র বিক্রী করে দিচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। আজহার শীতলক্ষ্যা ও ব্রম্মপুত্র নদীতে ড্রেজার লাগিয়ে মাটি কাটছে নলেও অভিযোগ রয়েছে।
এ ছাড়াও সভায় জনদুর্ভোগ লাঘবে বন্দর বাজার হতে খেয়াঘাট পর্যন্ত ফুটপাত দখল করে কাচা বাজার, অবৈধ দোকান, বন্দর প্রেসক্লাবে সামনে হতে অবৈধ অটোষ্ট্যান্ড, নবীগজের ৩ টি অবৈধ ষ্ট্যান্ড উচ্ছেদ, কিশোর অপরাধ নিয়ন্রন, মাদকের ভয়াবহতা, বিভিন্ন এলাকায় ফসলী জমি ভরাট বন্দের দাবি জানান।
সভায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম রশিদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বি এম কুদরত এ খোদা এবং বন্দর থানার অফিসার্স ইনচার্জ আবুবকর সিদ্দিককে জনদুর্ভোগ লাঘবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেন।