রুদ্রবার্তা২৪.নেট: নারায়ণগঞ্জের বন্দরে অবৈধভাবে বালু তোলা এবং মাটি কাটার অভিযোগে দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। জব্দ করা হয়েছে ড্রেজারটি। শুক্রবার (৩০ জুলাই) বিকেলে উপজেলার বন্দর ইউনিয়নের মীরকুন্ডি এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ।
স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় এক যুবলীগ নেতার নেতৃত্বে ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে বালু উত্তোলন করছিল একটি চক্র। বন্দর ইউনিয়নের মীরকুন্ডি, বালুচর, বিবিজোড়া এলাকায় নদের পাড় ও পাড়ঘেষা জমির মাটিও কাটছিল তারা। এতে অনেক কৃষিজমি ও স্থানীয় লোকজন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিলেন। সোনারগাঁ উপজেলার শম্ভুপুরা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য রিয়াজুল হক টিটুও মাটি কাটার ঘটনার সাথে জড়িত আছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে ক্ষোভ ছিল এলাকাবাসীর মধ্যে। শুক্রবার বিকেলে ক্ষুব্দ জনতা ড্রেজারের কাজ বন্ধ করে দিয়ে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ দু’জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
ঘটনাস্থলে থাকা বন্দর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. বারেক জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে অভিযান চালানো হয়। অবৈধভাবে বালি তোলা ও মাটি কাটার অভিযোগে ড্রেজার চালানোর সাথে সম্পৃক্ত একজনকে আটক করা হয়। এ সময় পার্শ্ববর্তী আরেকটি ট্রলার থেকে ঝাপিয়ে পালানোর চেষ্টা করা অবস্থায় আরেকজনকে আটক করা হয়। ড্রেজারটিও জব্দ করা হয়েছে।
বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন আহমেদ বলেন, নামধারী কিছু যুবলীগ নেতা-কর্মীর যোগসাজশে ব্রহ্মপুত্র নদ ও আশেপাশের এলাকা থেকে বালু ও মাটি তুলছিল। এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ ছিল। আজ দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ। এজন্য বন্দর থানার ওসির প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
এ বিষয়ে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, অবৈধভাবে ড্রেজার চালানোর অভিযোগে দু’জনকে আটক করা হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে ড্রেজারটি। ড্রেজার পরিচালনার বিষয়ে কোনো কাগজপত্র বা অনুমতি তাদের কাছে ছিল না। আটকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ড্রেজারের মালিকের বিষয়ে যাচাই-বাছাই চলছে।
এদিকে ড্রেজারের মালিকানা বা পরিচালনার সাথে সম্পৃক্ত নন বলে দাবি করেছেন শম্ভুপুরা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য রিয়াজুল হক টিটু। তিনি বলেন, ‘আমার নাম জড়ানো হচ্ছে। ড্রেজারের সাথে আমি জড়িত না। এটার মালিক কলাগাছিয়ার জাহাঙ্গীর নামে একজনের। সেই বিভিন্নজনের নাম ভাঙিয়ে এই অবৈধ কার্যক্রম চালাচ্ছিল।’