পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে তীব্র ঢেউয়ের কারণে ৬৮ জেলেসহ চারটি ট্রলার ডুবে গেছে। মঙ্গলবার (১ আগস্ট) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরের চর বিজয় সংলগ্ন এলাকায় ট্রলার ডুবির ঘটনাগুলো ঘটে। এসময় ডুবে যাওয়া ট্রলারগুলোর ৬৮ জেলেকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
আলীপুর-কুয়াকাটা মৎস্য আড়তদার সমবায় সমিতির সভাপতি আনসার উদ্দিন মোল্লা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ডুবে যাওয়া ট্রলারগুলো হলো- মহিপুরের ‘মায়ের দোয়া’, আলীপুরের ‘বিসমিল্লাহ-১’, বরগুনার নলী এলাকার ‘এফবি নলী বন্দর’। অপর ট্রলারটি চট্রগ্রামের বাশখালি এলাকার।
জেলেরা জানায়, আজ দুপুরে তীব্র বাতাস এবং প্রচণ্ড ঢেউয়ের কবলে পড়ে এসব ট্রলারের তলা ফেটে যায়। পরে ট্রলারগুলো ডুবে যায়। এসময় পাশ্ববর্তী স্থানে থাকা অন্য ট্রলারের জেলেরা ৬৮ জেলেকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করে।
বিসমিল্লাহ ট্রলারের মালিক খলিল জানান, শুক্রবার সকালে মাছ শিকারের উদ্দেশ্য ছেড়ে যায় তার ট্রলারটি। আজ দুপুর ২টার দিকে কুয়াকাটা সৈকত থেকে ৫ কিলোমিটার গভীরে ডুবোচরে প্রচণ্ড ঢেউয়ের কারণে তলা ফেটে ট্রলারটি ডুবে যায়। এসময় অপর একাধিক ট্রলার তার সব জেলেক উদ্ধার করে আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে নিয়ে আসে। ট্রলার ডুবিতে খলিলের প্রায় অর্ধ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। তবে ট্রলারের মাঝি মাল্লারা প্রাণে বেঁচে যাওয়ায় তিনি আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানান।
আলীপুর-কুয়াকাটা মৎস্য আড়তদার সমবায় সমিতির সভাপতি ও লতাচালীই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনছার উদ্দিন মোল্লা জানান, নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ায় সমুদ্র প্রচণ্ড উত্তাল রয়েছে। ঝড়ো বাতাসে সমুদ্রে টিকতে পারছেন না জেলেরা। ঝড়ের কবলে পরে চারটি ট্রলার ডুবে গেছে। তবে মাঝি মাল্লাদের উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয় নিয়ে আসা হয়েছে। সমুদ্র থেকে বেশিরভাগ ট্রলার আলীপুর-মহিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রসহ বিভিন্ন প্রেতাশ্রয়ে আশ্রয় নিয়েছে।