নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ব্যাংকে টাকা জমা রাখতে গিয়ে সাড়ে ৭ লাখ টাকাসহ জিয়াউর রহমান (৩০) নামের এক যুবক নিখোজ হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় নিখোঁজের ৪দিন পর নিখোঁজের স্ত্রী সুস্মিতা আক্তার বাদী হয়ে সোমবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে ফতুল্লা মডেল থানায় সাধারন ডায়েরী (নং-১৬০৬) করেন।
নিখোঁজ জিয়াউর রহমান পাবনা জেলার সুজানগর থানার সাতবাড়ীয়ার শহিদ মল্লিকের পুত্র। সে ফতুল্লার কাশিপুর বাশমুলির মনিরের বাসায় ভাড়ায় বসবাস করতো।
সাধারন ডায়েরীতে উল্লেখ্য করা হয়, নিখোজ জিয়াউর রহমান বৃহস্পতিবার বেলা বারোটার দিকে কাশিপুর বাশমুলি এলাকা থেকে নিখোঁজ হয়। এরপর থেকে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায় এবং সে নিখোঁজ রয়েছে।
নিখোঁজের স্ত্রী সুস্মিতা জানায়, নিখোঁজ জিয়াউর রহমান পেশায় অটোরিক্সা চালক। ঈদ উপলক্ষে পাবনা থেকে যাকাত প্রদানের জন্য বিসিকের এক গার্মেন্টস মালিক কে প্রায় সাড়ে সাত লাখ টাকা মূল্যের লুঙ্গি ও গামছা এনে দিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার সে টাকা প্রদানের কথা ছিলো গার্মেন্টস মালিকের। ঐ দিনই বেলা ১২ টার দিকে তার সাথে নিখোঁজ স্বামীর সর্বশেষ মোবাইল ফোনে কথা হয়। সে সময় তার স্বামী তাকে জানায় যে টাকা হাতে পেয়েছে এবং তা ইসলামী ব্যাংকে রাখতে যাওয়ার জন্য রওনা দিবে। এরপর থেকে তার সাথে আর যোগাযোগ হয়নি এবং মোবাইল ফোন ও বন্ধ পাওয়া যায়। তবে কোন গার্মেন্টসের মালিকের নিকট লুঙ্গি, গামছা সরবরাহ করেছেন তা তিনি জানেন না বলে জানায়।
নিখোঁজ জিয়াউরের বাবা শহিদ মল্লিক জানায়, তার ছেলে অটোরিক্সা চালালেও এবারই প্রথম এক গার্মেন্টস মালিকের জন্য পাবনা থেকে লুঙ্গি ও গামছা নিয়ে এসেছিলো। বিসিকের এক গার্মেন্টসের মালিকের কথা মতো যাকাতের জন্য পাবনা থেকে গামছা ও লুঙ্গি নিয়ে এসেছিলো। বৃহস্পতিবার দিন লুঙ্গি ও গামছার টাকা পরিশোধিত কথা ছিলো গার্মেন্টস মালিকের। সেদিন বেলা ১১ টা ৪৮ মিনিটের সর্বশেষ তার সাথে কথা হয়েছিলো নিখোঁজ জিয়াউরের। তখন তাকে বলেছিলো টাকা পেয়েছেন। এরপর থেকে তার মোবাইল নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায় এবং তার সন্ধান ও পাওয়া যাচ্ছেনা।
এ বিষয়ে সাধারণ ডায়েরীর তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক কামাল হোসেন জানায়, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। নিজস্ব সোর্স ও তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার সহ নানা ভাবে নিখোঁজ জিয়াউরের সন্ধান বা উদ্ধারের চেস্টা করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।