ফতুল্লা আলীগঞ্জে স্বামীর সাথে অভিমান করে গলায় ফাঁস দিয়ে রাবেয়া বেগম (২২) নামের এক গৃহবধু আত্নহত্যা করেছে বলে জানা গেছে। নিহত রাবেয়া বেগম ফরিদপুর জেলার ভাংগা থানার কাউলীপাড়ার নিচিন্দাপুরের মৃত নুর ইসলামের মেয়ে।
এ ঘটনায় আত্নহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে পুলিশ নিহতের স্বামী মো. রবিউল মাদবর (২৩) কে গ্রেফতার করেছে। গ্রেপ্তারকৃত মো. রবিউল পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী থানার কাজির হাওলা গ্রামের মৃত জাফর মাতবরের পুত্র। সে স্ত্রী কে নিয়ে ফতুল্লা মডেল থানার আলীগঞ্জ পূর্বপাড়ার হাজী আসাদ আলীর ভাড়া বাসায় বসবাস করতো। সে পেশায় অটোরিক্সা চালক।
ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাতে ফতুল্লা মডেল থানার আলীগঞ্জ পূর্বপাড়ার হাজী আসাদ আলীর ভাড়া বাসার নীচ তলায়। এ ঘটনায় নিহতের ভাই মো. রানা বাদী হয়ে আত্নহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, তিন বছর পূর্বে পারিবারিক ভাবে গ্রেফতারকৃতের সাথে নিহতের বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে জুনায়েদ নামের দেড় বছরের একটি শিশু সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর হতে নানা অজুহাতে গ্রেফতারকৃত রবিউল বাদীর বোন কে শারীরিক এবং মানষিক ভাবে নির্যাতন করে আসছিলো। এ নিয়ে পারিবারীক ভাবে একাধিকবার শালিসী বৈঠক হয়।
বৃহস্পতিবার রাত ১০ টার দিকে বাদীর ভাইয়ের স্ত্রী বাদী কে ফোন করে জানায় যে তার বোন রাবেয়া বেগম গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করেছে। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে এসে নিহতের লাশ উদ্ধার করে সুরহতাল রিপোর্ট তৈরি করে পরবর্তীতে ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের মরদেহ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
নিহতের স্বামী রবিউল মাতবর জানায়, মোবাইল ফোনের কথা বলা নিয়ে তার স্ত্রীর সাথে কথাকাটাকাটি হয়। এ নিয়ে তার অনুপস্থিতিতে স্ত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করে।
এ বিষয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়া ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক জিয়াউর জিয়া জানায়, নিহতের ভাইয়ের দায়ের করা আত্নহত্যা প্ররোচনা মামলায় নিহতের স্বামী কে গ্রেপ্তার করা হয়।