ফতুল্লায় কলেজ ছাত্রী অপহরনের একদিনের মাথায় অপহৃত কলেজ ছাত্রী (১৭) কে উদ্ধারসহ মূল হোতা সেহান ওরফে রুবেল (২৬) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২ জুন) বিকেলে ফতুলার পোস্ট অফিস রোড এলাকা থেকে সোহান ওরফে রুবেল কে গ্রেপ্তার করা হয়।পরে তার স্বীকারোক্তিমোতাবেক অপহৃত কলেজ ছাত্রী কে উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে বুধবার রাতে সোহান ওরফে রুবেল নামক অপর এক অপহরনকারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত সোহান ওরফে রুবেল (২৬) ফতুল্লা থানার শারজাহান রোলিং মিলস এলাকার মোস্তফার পুত্র ও নাহিদ হোসেন(২৭) ফতুল্লা থানার দাপা ইদ্রাকপুরস্থ নুর মসজিদ সংলগ্ন আজাদের ভাড়াটিয়া মনির হোসেনের পুত্র।
বুধবার (১ জুন) দুপুরে ফতুল্লার পাগলা হাজী মিছির আলী স্কুল এন্ড কলেজের সামনে থেকে কলেজ ছাত্রী অপহৃত হয়। এ ঘটনায় অপহৃত কলেজ ছাত্রীটির মা বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় রাতেই মামলা দায়ের করেছেন।
মামলায় উল্লেখ্ করা হয়, বাদীর মেয়ে পাগলা হাজী মিছির আলী স্কুল এন্ড কলেজের একাদশ শ্রেনীর ছাত্রী। কলেজে যাতায়াতের পথে প্রায় সময় বাদীর মেয়ে কে শারাজাহান রোলিং মিলস এলাকার মোস্তফার পুত্র সোহান ওরফে রুবেল (২৬) উত্যক্ত করতো।
এ বিষয়ে তিন মাস পূর্বে সোহান ওরফে রুবেলের নিকটাত্নীয় রফিকুল ইসলাম টিপুকে অবগত করা হলে তিনি আস্বস্ত করেন যে আর কখনো বিরক্ত বা উত্যক্ত করবেনা সোহান ওরফে রুবেল। বুধবার দুপুর তিনটার দিকে বাদীর মেয়ে হাজী মিছির আলী স্কুল এন্ড কলেজ সংলগ্ন তমাল স্যারের ই,হক কোচিং সেন্টারে কোচিং পড়ার জন্য ফতুল্লার শিয়াচর লালখাস্থ নিজ বাসা থেকে বের হয়।
যথা সময় বাসায় ফিরে না আসায় অপহৃতের সহপাঠীদের নিকট বাদী ফোন করলে তারা জানায় কোচিংয়ে আসেনি বাদীর মেয়ে। তারা আরো জানায় যে সোহান ওরফে রুবেল, গ্রেপ্তারকৃত নাহিদ ও ফয়াসল (৩৫) সহ অজ্ঞাতনামা আরো ২-৩ জনের সাথে দেলপাড়ার দিক হইতে পাগলার দিকে যাইতে দেখিয়াছে।
অপরদিকে অভিযুক্ত সোহান ওরফে রুবেলের পরিবারের দাবী অপহরন নয় স্বেচ্ছায় সোহান ওরফে রুবেল ও মেয়েটি প্রেমের টানে পালিয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক হারেছ শিকদার জানায়,মামলা হয়েছে। এজাহারনামীয় আসামী নাহিদ কে বুধবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়। বৃহস্পতিবার বিকেল চারটার দিকে
অপহৃত কলেজ ছাত্রীকে উদ্ধার সহ মূল হোতা সোহান ওরফে রুনেল কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।