ফতুল্লার মুসলিমনগরে অটোরিক্সা চালক সুজন ফকিরকে ছুরিকাঘাতে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় তার প্ত্রু সজিব ফকির (২০) বাদী হয়ে শনিবার দুপুরে ফতুল্লা মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এর আগে সকাল ৭ টার দিকে বাসা থেক ডেকে বের করে নিয়ে গিয়ে পূর্ব- পরিকল্পিতভাবে চলন্ত অটোরিক্সার সামনের সিটে বসে থাকা সুজন ফকিরকে পেছন থেকে ছুরিকাঘাত করে গলা কেট হত্যা করে পালিয়ে যায় ঘাতকেরা।
নিহত সুজন ফকির (৪৫) নাটোর জেলার গুরুদাসপুর থানার রামগাড়ীর আমজাদ হোসেন টগরের পুত্র ও ফতুল্লা মডেল থানার নবীনগরের শাহ আলমের ভাড়াটিয়া বাসায় দ্বিতীয় স্ত্রী মর্জিনা বেগম কে বসবাস করতো।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, নিহত সুজন ফকির ফতুল্লা থানার বিসিকস্থ অহনা নামক একটি পোষাক তৈরি কারখানায় আইরনম্যান হিসেবে কাজ করতো। চলতি মাসের ১ তারিখে সে পোষাক তৈরি কারখানার ছেড়ে দিয়ে ১৪ অক্টোবর বৃহস্পতিবার একটি মিশুক ক্রয় করে।
শুক্রবার রাতে মিশুক গাড়ীটি স্থানীয় জামানের গ্যারেজে চার্জে রেখে বাসায় চলে আসে। শনিবার (১৫অক্টোবর) সকাল সাতটার দিকে অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন ব্যক্তি নিহত সুজন ফকির কে বাসা থেকে ডেকে বের করে নিয়ে একটি মিশুক গাড়ী যোগে বিসিকের দিকে যাওয়ার পথে এনায়েতনগর মুসলিম নগর নয়াবাজারস্থ ইঞ্জিনিয়ার সোহেল এর অফিসের সামনে পাকা রাস্তার উপর পৌছা মাত্র মিশুকের পিছনের সিটে বসা অজ্ঞাতনামা দুই জন পরস্পর যোগসাজসে মিশুক চালকের বাম পার্শ্বে বসা সুজন ফকির কে ধারালো ছুরি দিয়ে গলার পেছনে গাড়ে ছুরিকাঘাত করে গলা কেটে হত্যা করে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ইনচার্জ রকিবুজ্জামান জানান,পূর্বপরিকল্পিত ভাবে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে গলার পেছন দিক দিয়ে ছুরিকাঘাত করে গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যায়। নিহতের পুত্র বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছে। সিসি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। সিসি ফুটেজ দেখে ঘাতকের চিন্থিতসহ গ্রেফতার করার চেস্টা করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।