রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে রাশেদ (২৬) নামক এক যুবক কে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করার ঘটনার প্রধান আসামী আওয়ামীলীগ নেতা জুয়েল প্রধান কে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে কাশিপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মারধরের ঘটনা ৩ নভেম্বর ঘটলেও ঘটনার একটি ভিডিও সোমবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয় এবং একই দিনে মামলা দায়ের করা হয়। গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র।
জানা যায়,পূর্ব শত্রুতার জের ধরে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে রাশেদ নামক এক যুবকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে জুয়েল বাহিনী।
এ ঘটনায় আহত যুবক রাশেদের বাবা নিজাম বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ্য সহ অজ্ঞাত নামা আরো ২-৩ জনকে আসামী করে রোববার রাতে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছে।
মামলার আসামীরা হলো ফতুল্লা মডেল থানার পশ্চিম দেওভোগ এলাকার মৃত নুরুল ইসলাম প্রধানের পুত্র আওয়ামীলীগ নেতা জুয়েল প্রধান(৪০), মোহাম্মদ আলীর পুত্র রাজু আহম্মেদ (৩৫), এবাদলের পুত্র আফজাল (৩০),খলিল মুন্সির পুত্র কাওসার(৩০), আবুল বাবুর্চির পুত্র সেলিম (৩০), ভোলাইলের সফর মাঝির পুত্র হীরা (৩৫), একই এলাকার অহিদ (২৫), নাহিদ(২৫), হাবিব(২৬),সোহান (২৮), বিপ্লব (২৮), ও বিসিক শাসনগাওয়ের মোঃ সম্রাট সহ অজ্ঞাতনামা আরো ২-৩ জন।
মামলায় উল্লেখ্য করা হয়, অভিযুক্ত আসামীদের সাথে পূর্ব শত্রুতা ছিলো। চলতি মাসের ৩ তারিখ বিকেল চারটার দিকে বাদীর পুত্র রাশেদ ভোলাইল থেকে মোটর সাইকেল যোগে কাশিপুর যাওয়ার পথে দেওভোগ শেষ মাথা ডাচ বাংলা এটিএম বুথ এর সামনে পৌঁছানো মাত্র অভিযুক্ত আসামীরা
চাপাতি, রামদা, লোহার রড, জিআই পাইপ, লাঠিসোটা সহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তার গতিরোধ করে। এক পর্যায়ে তাকে জোড়পূর্বক রাস্তা থেকে তুলে ভেলাইল শান্তিনগর সেভেন মাঠে নিয়া যায়। সেখানে নিয়ে গিয়ে রাশেদ কে এলোপাতাড়ি ভাবে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম সহ পায়ের রগ কেটে ফেলে।
হামলাকারীদের কবল থেকে রক্ষা পেতে আহত রাশেদ ডাক-চিৎকার করলে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে অভিযুক্ত আসামীরা পালিয়ে যায়। এ সময় হামলাকারীরা রাশেদের ব্যবহৃত মোটর সাইকেল ( ঢাকা মেট্রো–ল-২৪-৮৬৮১), মোবাইল ফোন ও পকেটে থাকা ৪ হাজার ৮শত টাকা নিয়ে যায়।