নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা ও মুন্সিগঞ্জের সিরাজদীখানের শেষ প্রান্তের ভয়ঙ্কর একটি এলাকার নাম আকবর নগর। এ এলাকার কিছু অংশ সিরাজদীখানে আর কিছু অংশ ফতুল্লায়। এতে এখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল কম থাকায় প্রায় সময় প্রভাব বিস্তার নিয়ে লোমহর্ষক হতাহতের ঘটনা ঘটে। টেঁটা বিদ্ধ হয়ে এ পর্যন্ত একাধীক হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে আকবরনগর এলাকায়।
সর্বশেষ ৬ ফেব্রুয়ারী দুপুর ১২টায় আবারো আকবরনগরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই গ্রুপের অন্তত ৭/৮ জন টেঁটাবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে সামসুল ইসলাম নামে এক ইট খোলা ব্যবসায়ীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে টেটা দিয়ে একাধীক আঘাত করে হত্যার চেষ্টা করা হয়। তাকে উদ্ধার করতে তার চাচাতো ভাই সজিব এগিয়ে আসলে তাকেও এলোপাথারী কোপানো হয়।
এ ঘটনায় বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ফতুল্লা মডেল থানায় ৩৩ জনের নাম উলেখ করে আরো অজ্ঞাত ২০ জনের বিরুদ্ধে আহত সামসুল ইসলামের ভাই সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে চাঁদাবাজীর অভিযোগ এনে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করা হয়। মামলার আসামীরা প্রত্যেকেই সিরাজদীখানের বাসিন্দা।
এলাকাবাসী জানান, আকবরনগর এলাকায় রহিম ও সামেদ আলী নামে দুইটি প্রভাবশালী সন্ত্রাসী গ্রুপ রয়েছে। আর এ এলাকায় রয়েছে ২০/২২টি ইট খোলা। মূলত এসব ইট খোলায় চাঁদাবাজী নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে থাকে। প্রভাব বিস্তার করতে গিয়ে উভয় গ্রুপের এপর্যন্ত একাধীক হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে। তাদের প্রভাব বিস্তার ও হত্যাকান্ডের ঘটনায় সিরাজদীখান ও ফতুল্লা থানায় একাধীক হত্যা, চাঁদাবাজীর মামলা রয়েছে।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি রকিবুজ্জামান জানান, আকবরনগর এলাকাটি দুই জেলার মাঝামাঝি হওয়ায় আমাদের এলাকা থেকে ধাওয়া করলে সন্ত্রাসীরা মুন্সিগঞ্জে চলে যায়। যার কারনে পুরো পুরি সন্ত্রাসী মুক্ত করতে পারছিনা। তবে সর্বাত্মক ভাবে চেষ্টা চলছে সন্ত্রাসীদের দমন করার।