নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় যৌতুকের দাবিতে গার্মেন্টস শ্রমিক স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস ওরফে আমেনাকে নির্যাতন করার অভিযোগে যৌতুকলোভী স্বামী মারুফ শেখের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ মামলায় বিজ্ঞ আদালত মারুফের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করার পর পুলিশ তাকে খুজে বেড়াচ্ছে। তবে যৌতুকলোভী মারুফ শেখ পুলিশের ভয়ে এক স্থান থেকে আরেক স্থানে ছুটে বেড়াচ্ছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ফতুল্লার ধর্মগঞ্জের শাহিন মিয়ার মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস ওরফে আমেনার গত ৪ বছর আগে বাগেরহাটের রামপাল থানার মল্লিকের বেড় দক্ষিণ সন্নাসি এলাকার কালাম শেখের ছেলে মারুম শেখের সঙ্গে ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক তিন লাখ টাকার দেনমোহরে বিয়ে হয়।
চার বছর সংসার করে এবং স্ত্রীকে দিয়ে কিস্তির মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে ৫ লাখ টাকা উত্তোলন করে মারুফ। তার পরও যৌতুকের টাকার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। স্ত্রী গার্মেন্ট শ্রমিক হওয়ার সুবাদে টাকা দিতে অপরাগত প্রকাশ করলে শারীরিক নির্যাতন চালায়।
পরে বাধ্য হয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস ওরফে আমেনা তার স্বামী মারুফ শেখ সহ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করে। পরে বিজ্ঞ আদালত মারুফের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন এবং তার মাসুমা বেগমের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন।
মারুফ তার পরিবার নিয়ে ফতুল্লার ভোলাইল এলাকায় বসবাস করলেও স্ত্রী মামলা দায়ের করার পর পালিয়ে যায়। আর মারুফের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি হয়েছে এমন সংবাদে পুলিশের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে এবং গ্রেপ্তার করতে পুলিশ তাকে খুজে বেড়াচ্ছে।
জান্নাতুল ফেরদৌস ওরফে আমেনার আইনজীবী ফাইজুল ইসলাম ফয়সাল জানান, জান্নাতুল ফেরদৌস ওরফে আমেনার দায়েরকৃত মামলায় স্বামী মারুফ শেখের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি করেছেন বিজ্ঞ আদালত। ওয়ারেন্টের কপি থানায় রয়েছে এবং খবর নিয়ে জানতে পারলাম আসামিকে গ্রেপ্তার করার জন্য পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।