নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় দূর্নীতির অভিযোগে প্রধান শিক্ষিকা লুৎফুন্নেছা ওরফে লাভলীর অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করেছে স্কুলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘ এক ঘন্টা ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা-মুন্সিগঞ্জ সড়ক অবরোধে সকল ধরনের যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
তারা আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে ওই প্রধান শিক্ষিকা লাভলী যদি পদত্যাগ না করলে ক্লাস বর্জন সহ আন্দোলনের কঠোর হুশিয়ারী দিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে ফতুল্লার হরিহরপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষিকার অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করে।
এদিকে অভিযোগ উঠেছে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি সহ স্থানীয় জনৈক প্রভাবশালী এক ব্যক্তি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের টাকার প্রলোভন সহ নানা ধরনের হুমকি দমকি দিচ্ছে। এতে করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আতঙ্কে রয়েছে। তবে হুমকির শিকার হলেও প্রভাবশালীদের ভয়ে সাংবাদিকদের ক্যামেরার সামনে বক্তব্য দিতে অনিহা প্রকাশ করেন।
এদিকে প্রধান শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা স্কুলের ভিতরে বিক্ষোভ শুরু করে। সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ করলেও ম্যানেজিং কমিটি ও দূর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষকের মাথায় প্রভাবশালীদের ছায়া থাকায় কোন কর্ণপাত করেনি।
বাধ্য হয়ে শিক্ষার্থীরা রাজপথে নেমে আসে। তারা ফতুল্লার পঞ্চবটি মোড়ে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা মুন্সিগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে রাখে। এসময় তাদের ৫ দফা দাবি থেকে এক দফা দাবি প্রধান শিক্ষকের অপসারণ চাই স্লোগান দিয়ে রাজপথ কাপিয়ে তোলে। তারা দীর্ঘ এক ঘন্টা সড়ক অবরোধ করে রাখায় সব ধরনের যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, ঐতিহ্যবাহি হরিহরপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়ম বর্হিভূত ভাবে অর্থের বিনিময়ে লুৎফুন্নেছা ওরফে লাভলী সহকারী হতে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পান। লাভলী ম্যাডামের প্রতি জনৈক এক প্রভাবশালীর সু-নজর থাকায় সহসাই প্রধান শিক্ষকের নিয়োগ পায়। আর সে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পাওয়ার পর স্কুলের অর্থ লুটপাট, শিক্ষার্থী সহ অভিভাবকদের সাথে খারাপ আচরণ করে।
লাভলী ম্যাডাম দায়িত্ব গ্রহণ করার পর স্কুলের শিক্ষার মান বৃদ্ধি করার চিন্তা না থাকলেও বিভিন্ন খাত থেকে কৌশলে টাকা লুটপাট করে। এছাড়াও বহু অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। একটা হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক হওয়ার মত তার কোন যোগ্যতাই নাই। তার পরও কিসের যোগ্যতায় প্রধান শিক্ষক বনে হয় তা আমাদের বোধগম্য নয়। স্কুলের শিক্ষার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে দূর্নীতিবাজ, টাকা লুটপাটকারী অযোগ্য প্রধান শিক্ষকের অপসারণ দাবি জানাচ্ছি।
স্কুলের প্রধান শিকিকা লুৎফুন্নেছা ওরফে লাভলীর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও স্কুলে গিয়ে যোগাযোগ করা যায় নাই এবং ওনার মোবাইল ফোনে ফোন দিলে রিসিভও করেন নাই।
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) দেদারুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, হরিহরপাড়া স্কুলের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ সহ সড়ক অবরোধ করেছে কিনা তা আমি জানি না। বিষয়টি খোজ খবর নিয়ে দেখছি।