ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে রোববার রাত থেকে সোমবার রাত পর্যন্ত টানা বর্ষণে ডিএনডি বাঁধের ভেতরসহ ফতুল্লার বিভিন্ন এলাকার রাস্তা-ঘাট তলিয়ে গেছে। কোথাও হাটু পানি আবার কোথাও কোমর সমান। এতে কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে ডিএনডি বাঁধের ভেতরের মানুষ। কল কারখানার বিষাক্ত ক্যামিকেলযুক্ত ময়লা পানি বৃষ্টির পানির সঙ্গে মিশে একাকার হয়ে আছে। দুর্গন্ধযুক্ত এই পানি মাড়িয়ে নিরুপায় মানুষ যাতায়াত করছে। আবার সেখানে বেশি পানি ওই সব এলাকায় রিকশা, ভ্যান ও নৌকা দিয়ে গন্তব্যে যাচ্ছে পানিবন্দি মানুষ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ডিএনডি বাঁধের ভেতর ফতুল্লার পাগলার নন্দলাপুর নয়ামাটি, শাহিমহল্লা, মুসলিমপাড়া, শহীদ নগর, দৌলতপুর, মুন্সিবাগ, আদর্শ নগর, নূরবাগ, পিলকুনী, পিলকুনী, ব্যংককলোনী, শিয়াচর, লালখা, রেল স্টেশন, ব্যাপারী পাড়া, খোজ পাড়া, লালপুর, পৌষাপুকুর পাড়, টাগার পাড়সহ আশপাশের প্রায় বেশ কয়েকটি এলাকার রাস্তা-ঘাট টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে। আর এতে করে ঘরবন্দি হয়ে পড়েছেন প্রায় কয়েক লাখ মানুষ। তবে সব চাইতে ভয়াবহ অবস্থা লালপুর পৌষাপুকুর এলাকা। এই এলাকার প্রতিটি অলিগলিতেই হাটু সমান বা তারও বেশী পানিতে তলিয়ে গেছে রাস্তাগুলো। অনেক বাসা বাড়ীতেও প্রবেশ করেছে পানি। আর এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। এই ভোগান্তির শেষ কোথায় তাও যেন জানা নেই পৌষাপুকুর পাড়ের সাধারণ মানুষের। দীর্ঘ কয়েক বছর যাবত এ রকম চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন অবহেলিত লালপুর পৌষাপুকুর পাড়ের মানুষ।
পৌষাপুকুর পাড় কবরস্থান সড়কের বাসিন্দা সামছুল জানান, বৃষ্টির পানি না সরতে পারায় রাস্তা ডুবে আছে। মানুষের চলাচলে খুবই কষ্ট হচ্ছে।
একই গলির বাসিন্দা রহিমা জানান, অনেকে বাসায় এখনো বৃষ্টির পানি আটকে আছে।রান্না ঘরেও পানি প্রবেশ করেছে। তাই বাধ্য হয়ে বৃস্টিতে ভিজে পাশের বাড়ী থেকে রান্না করে নিয়ে এসেছি। আমাদের অনেক দুর্ভোগ। ড্রেন না থাকায় পানি সরবে না সহজেই। ফলে এই ভোগান্তি আর কতোদিন পোহাতে হবে আল্লাহই জানে।