পাল্টাপাল্টি হামলা ঘিরে গত কয়েকদিন ধরে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি চলছে পাকিস্তান-ইরানের মধ্যে। তবে সেই উত্তেজনা কিছুটা কমার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। এরই মধ্যে ইতিবাচক বার্তা বিনিময় করেছে দেশ দুটি। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মমতাজ জাহরা বেলোচ এক্সবার্তায় জানিয়েছেন, পাকিস্তানের অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব রহিম হায়াত কোরেশি ও ইরানের অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব সৈয়দ রাসুল মৌসাভির মধ্যে ব্যক্তিগতভাবে আলোচনা হয়েছে। তাদের আলোচনায় দুপক্ষের মধ্যে কিছু ইতিবাচক বার্তা বিনিময় হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) ইরানের পররাষ্ট্র সচিব সৈয়দ রসুল মৌসাভি মাইক্রো ব্লগিং সাইটে এক্সে একটি পোস্ট করেন। সেখানে তিনি লেখেন, আমি বিশ্বাস করি যে দুই দেশের বিদ্যমান উত্তেজনা সমাধানে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শেষ আশ্রয়স্থল। দুই দেশের নেতা ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাও জানেন যে প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান উত্তেজনা থেকে শুধু সন্ত্রাসী ও শত্রুরা লাভবান হবে।
তার সেই পোস্টের জবাবে দেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব রহিম হায়াত কোরেশি। তিনি তার ইরানের পররাষ্ট্র সচিবকে ‘প্রিয় ভাই’ হিসেবে অভিহিত করে বলেন, পাকিস্তান-ইরানের মধ্যে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। ইতিবাচক আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যা সমাধানে দুই দেশকে এগিয়ে যেতে হবে।
‘দুপক্ষের মধ্যে আস্থা ও ভরসা পুনরুদ্ধার করা গুরুত্বপূর্ণ। এ আস্থা ও ভরসা সব সময় দুই দেশের সম্পর্ক নির্ধারণ করে। সন্ত্রাসবাদসহ আমাদের অভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সমন্বিত পদক্ষেপ প্রয়োজন।’
গত মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) থেকে পাকিস্তান-ইরানের মধ্যে উত্তপ্ত সম্পর্ক চলে আসছে। সেদিন পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের পঞ্জগুর গ্রামে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। তাতে দুই শিশুসহ অন্তত চারজন নিহত হয়। ওই হামলার ৪৮ ঘণ্টা পর বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে ইরানে প্রতিশোধমূলক হামলা চালায় পাকিস্তান। এতে ইরানের অন্তত ৯ জন নিহত হয়।
ইরানের হামলার জবাবে পাল্টা হামলা করার আগে বুধবার কড়া পদক্ষেপ নেয় ইসলামাবাদ। ইরান থেকে নিজেদের রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করে নেওয়া ছাড়াও ইরানি রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করে দেয় ইসলামাবাদ।