দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে তিন ম্যাচের টেস্টে প্রথম খেলায় জয় পেলেও পরের দুই ম্যাচে হেরে সিরিজ হাতছাড়া করে ভারত। দলের পরাজয়ে নেতৃত্ব থেকে সেচ্ছায় অব্যাহতি নেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি।
ওয়ানডে দলের নেতৃত্ব থেকে আগেই কোহলিকে সরিয়ে দেয় ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই)। লোকেশ রাহুলের নেতৃত্বে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে নেমে হেরে যায় ভারত।
বুধবার পারলের বোল্যান্ড পার্কে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে টিম্বা বাভুমা ও রিশি ভেন দার ডুসেনের জোড়া সেঞ্চুরিতে ভর করে ৪ উইকেটে ২৯৬ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা।
টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৩ উইকেটে ১৮১ রান করা ভারত এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ২৬৫/৮ রানে ইনিংস গুটায়। ৩১ রানের জয়ে সিরিজে ১-০তে এগিয়ে যায় প্রোটিয়ারা।
বুধবার প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১৯ রানে ওপেনার জানেমান মালানের উইকেট হারানো দক্ষিণ আফ্রিকা এরপর ৫৮ ও ৬৮ রানে হারায় কুইন্টন ডি কক ও এইডেন মার্করামকে।
চতুর্থ উইকেটে রিশি ভেন দার ডুসেনকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক বাভুমা। এই জুটিতে ১৮৪ বলে ২০৪ রান সংগ্রহ করেন তারা। এই পার্টনারশিপেই জোড়া সেঞ্চুরি তুলে নেন বাভুমা ও ডুসেন।
২০১৬ সালে অভিষেকে সেঞ্চুরি করে আলোচনায় চলে আসেন বাভুমা। গত দুই বছরে দুইবার নার্ভাস নাইনটিতে গিয়ে আউট হন তিনি। তবে এবার আর ব্যর্থ হতে হয়নি বাভুমাকে।
ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৪তম ম্যাচে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। ৪৮.১ ওভারে দলীয় ২৭২ রানে আউট হন বাভুমা। তার আগে ১৪৩ বলে ৮টি বাউন্ডারির সাহায্যে করেন ১১০ রান।
বাভুমা আউট হওয়ার পর ডেভিড মিলারকে সঙ্গে নিয়ে শেষ ১১ বল মোকাবেলা করে স্কোর বোর্ডে ২৪ রান জমা করেন ডুসেন। ক্যারিয়ারের ৩০তম ম্যাচে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। ইনিংসের শেষ বল পর্যন্ত খেলে ৯৬ বলে ৯টি চার ও ৪টি ছক্কায় অপরাজিত ১২৯ রান করেন ডুসেন।
২৯৭ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে ভারত। ৪৬ রানে ফেরেন অধিনায়ক লোকেশ রাহুল। এরপর বিরাট কোহলির সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে ১০২ বলে ৯২ রানের জুটি গড়ে ফেরেন আরেক ওপেনার শিখর ধাওয়ান। দলীয় ১৩৮ রানে ৮৪ বলে ৭৯ রান করে ফেরেন ধাওয়ান।
এরপর আসা-যাওয়ার মিছিলে অংশ নেন বিরাট কোহলি (৫১), স্রেয়াশ আইয়ার, ঋষভ পন্থ, ভেঙ্কটিশ আইয়ার, রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও ভুবনেশ্বর কুমাররা।
২১৪ রানে ৮ উইকেট পতনের পর একাই লড়াই করে যান শার্দুল ঠাকুর। ইনিংসের শেষ বল পর্যন্ত খেলে ৪৩ বলে অপরাজিত ৫০ রান করে পরাজয়ের ব্যবধান কমান এই অলরাউন্ডার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
দক্ষিণ আফ্রিকা: ৫০ ওভারে ২৯৬/৪ রান (রিশি ভেন দার ডুসেন ১২৯*, টিম্বা বাভুমা ১১০, কুইন্টন ডি কক ২৭; জসপ্রিত বুমরাহ ২/৪৮)।
ভারত: ৫০ ওভারে ২৬৫/৮ রান (শিখর ধাওয়ান ৭৯, বিরাট কোহলি ৫১, শার্দুল ঠাকুর ৫০*; তাবরিজ শামসি ২/৫২, লুঙ্গি এনগিডি ২/৬৪)।
ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ৩১ রানে জয়ী।