মাদারীপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা বেগম বলেন, নৌকার পক্ষে না থাকায় ও ঈগলের পক্ষে মিছিলে অংশগ্রহণ করায় আমার কর্মী এসকেন্দার খাঁকে হত্যা করা হয়েছে।
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন তিনি।
লিখিত বক্তব্যে তাহমিনা বেগম বলেন, নৌকা প্রার্থী এবং তার কর্মী ও সমর্থকরা নির্বাচনে আচরণবিধি তোয়াক্কা না করেই নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছে এবং আমার কর্মীদের বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে হুমকি, হামলা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটিয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় নৌকার প্রার্থী আবদুস সোবহান গোলাপের এজেন্ট লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ফজলুল হক ব্যাপারীর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী দ্বারা আমার কর্মী এসকেন্দার খাঁকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থীর তীব্র সমালোচনা করে তাহমিনা বেগম আরও বলেন, নৌকা প্রতীকের সমর্থক ও কর্মীরা প্রথম থেকেই সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে ভোটারদের মধ্যে ভীতসন্ত্রস্ত পরিবেশ সৃষ্টির পাঁয়তারা করে যাচ্ছে। প্রতীক বরাদ্দ হওয়ার পর থেকে নৌকার সমর্থকরা নির্বাচনের আচরণবিধি ভঙ্গ করে মিছিল করে এবং বিভিন্ন এলাকায় এক ভীতিকর ও ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করার চেষ্টা চালাচ্ছে। নৌকার মিছিল থেকে ঘোষণা করা হয়, যদি কেউ নৌকার বিপক্ষে নির্বাচন করে তাহলে তাদের ওপর হামলা করা হবে এবং এলাকায় থাকতে পারবে না। এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও প্রচার করা হয় নৌকার বাহিরে গেলে কেউ এলাকায় থাকতে পারবে না। দুই হাজার লাঠি-বৈঠা তৈরি করা হয়েছে, নৌকা বিরোধীদের এলাকা ছাড়া করার জন্য। তাদের এ ধরনের বক্তব্যে নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।
পুলিশকে নৌকার কর্মী উল্লেখ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা বেগম বলেন, গত তিন দিনে আমাদের মিছিলে বোমা হামলা, নেতাকর্মীদের বাড়িতে হামলা হয়েছে। পুলিশ সাধারণ নিরপরাধ দুজন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে তাদের দায় এড়িয়ে গেছে। মূল আসামিরা চিহ্নিত হলেও তাদের ধরছে না পুলিশ। আমরা কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিলেও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা এখনো নেওয়া হয়নি।
স্বতন্ত্র প্রার্থীর অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নৌকার প্রার্থী আবদুস সোবহান গোলাপ বলেন, এসকেন্দার খাঁ হত্যার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে তিনি (স্বতন্ত্র প্রার্থী) নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খায়রুল আলম খোকন বেপারী, কালকিনি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুজ্জামান শাহিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ওবাইদুর রহমান সোহেল তালুকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল রানা মিঠু, কালকিনি পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র এনায়েত হোসেন হাওলাদার প্রমুখ।