রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:২৫ পূর্বাহ্ন

নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিতে পাঁচ প্রস্তাবনা প্রধানমন্ত্রীর

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২৫ জুলাই, ২০২৩, ৫.৩৩ এএম
  • ৮০ বার পড়া হয়েছে

বিশ্বব্যাপী টেকসই, নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পাঁচটি প্রস্তাবনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (২৪ জুলাই) ইতালির রোমে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) সদর দপ্তরে ‘ইউএন ফুড সিস্টেম সামিট+২ স্টকটেকিং মোমেন্ট (ইউএনএফএসএস+২)’-এ বক্তব্য রাখতে গিয়ে এসব প্রস্তাবনা তুলে ধরেন তিনি। এ সম্মেলনে ২০ জনের বেশি রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানসহ ১৬০টিরও বেশি দেশ থেকে প্রায় ২ হাজার প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘বৈশ্বিকভাবে ৬৯০ মিলিয়ন মানুষ এখনও অপুষ্টিতে ভুগছে, প্রায় ২ বিলিয়ন মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নেই এবং প্রায় ৩ বিলিয়ন মানুষ সুষম খাবার থেকে বঞ্চিত। চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা-নিষেধাজ্ঞার ফলে সৃষ্ট খাদ্য, সার, জ্বালানি ও আর্থিক সংকট বিশ্বজুড়ে ক্ষুধা ও অপুষ্টির সমস্যাকে ঘনীভূত করেছে। তবে, পুষ্টিকর খাবার সংগ্রহের অক্ষমতার জন্য কৃষি ও খাদ্যপণ্যের মূল্য একমাত্র প্রতিবন্ধকতা নয়। এজন্য প্রয়োজন সবার জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই খাদ্য ব্যবস্থাপনা প্রবর্তন।’

এ প্রেক্ষাপটে বিশ্বব্যাপী টেকসই, নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পাঁচটি প্রস্তাবনার কথা বলেন তিনি।

প্রথমত, আধুনিক কৃষিতে বিনিয়োগের জন্য বহুপাক্ষিক উন্নয়ন ব্যাংক এবং বেসরকারি উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আর্থিক প্রণোদনা ও নীতি সহায়তা প্রদান করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয়ত, জাতিসংঘ মহাসচিবের উদ্যোগে Black Sea Grain Deal-কে চালু রাখার পাশাপাশি খাদ্য ও সার রপ্তানির বিধি-নিষেধগুলো তুলে নেওয়াসহ যেকোনো বাণিজ্য বাধা অপসারণের লক্ষ্যে সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়া একান্ত দরকার।

তৃতীয়ত, জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় বৈশ্বিক এবং আঞ্চলিক ‘ফুড ব্যাংক’ প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে খাদ্য উৎপাদন ব্যবস্থার রূপান্তরের লক্ষ্যে উন্নয়নশীল দেশগুলোর সহায়তায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসতে হবে।

চতুর্থত, কৃষিশিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে তাল রেখে ন্যানো-প্রযুক্তি, বায়ো-ইনফরমেটিক্স ও অত্যাধুনিক কৃষি প্রযুক্তিগুলো সকলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া বাঞ্ছনীয়।

পঞ্চমত, প্রতিবছর বিশ্বজুড়ে উৎপাদিত খাদ্যের প্রায় এক-তৃতীয়াংশের অপচয় রোধে তরুণ সমাজকে অন্তর্ভুক্ত করার মধ্য দিয়ে ব্যাপক সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা জরুরি। সম্মিলিতভাবে প্রয়োজনীয় কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে পারলে বিশ্বব্যাপী টেকসই খাদ্য নিরাপত্তা অর্জন করা সম্ভব হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি।

বক্তব্যের শুরুতে সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য জাতিসংঘের মহাসচিবকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। ‘স্টকটেকিং মোমেন্ট’ আয়োজনের জন্য ইতালির সরকার এবং জাতিসংঘের খাদ্য ব্যবস্থা সমন্বয়কারী হাবকে সাধুবাদ জানান শেখ হাসিনা।

কৃষির উন্নয়নে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদক্ষেপ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি তার স্বপ্নের সোনার বাংলায় কৃষি ও কৃষকের সর্বাঙ্গীন উন্নয়ন দেখতে চেয়েছিলেন। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু দেশ গঠনের কাজ শুরু করেছিলেন মাত্র ৪ লাখ টন খাদ্য মজুদ নিয়ে। তিনি অল্প সময়ের মধ্যেই উন্নত পদ্ধতির চাষাবাদ, বীজ, সেচ ও অন্যান্য কৃষি উপকরণ সরবরাহ করার উদ্যোগ নেন। পাশাপাশি ২৫ বিঘা পর্যন্ত জমির খাজনা মওকুফ করে দেন। কৃষিতে প্রয়োজনীয় অর্থায়নের জন্য কৃষি ব্যাংক স্থাপন করেন। ১৯৭৩ সালে খাদ্য ও কৃষি সংস্থার সদস্য হিসেবে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করেন। তার নেতৃত্বে প্রণীত সংবিধানে দেশের সকল নাগরিকের মৌলিক অধিকার হিসেবে পর্যাপ্ত পুষ্টিসমৃদ্ধ খাদ্যের অঙ্গীকার করা হয়।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৯৬ সালে নির্বাচিত হয়ে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করাকে প্রধান অগ্রাধিকার হিসেবে চিহ্নিত করে। তখন দেশে খাদ্য ঘাটতি ছিল প্রায় ৪০ লাখ মেট্রিক টন। পরবর্তী পাঁচ বছরে আমরা দেশকে খাদ্যশস্যে আত্মনির্ভর করে তুলি। ক্ষুধার বিরুদ্ধে আন্দোলনের স্বীকৃতি হিসেবে আমি এফএও’র ‘সেরেস’ পদকে ভূষিত হই।

দ্বিতীয় মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকার যখন ক্ষমতায় আসে, তখন ২৬ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য ঘাটতি দিয়ে শুরু করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা কৃষি যান্ত্রিকীকরণে ভর্তুকি প্রদান, ১০ টাকায় কৃষকের জন্য ব্যাংক হিসাব চালুকরণ, শৃঙ্খলাপূর্ণ সার বিতরণ ব্যবস্থাসহ নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করি। এর ফলে ২০১৩ সালের মধ্যে আমরা শুধু খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতাই অর্জন করিনি, বরং খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশে পরিণত হই।’

এফএও’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বের শীর্ষ খাদ্য উৎপাদনকারী ১০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম, উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৮-০৯ অর্থছরে দেশে খাদ্যশস্যের উৎপাদন ছিল ৩২.৯ মিলিয়ন মেট্রিক টন, ২০২২-২৩ অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৪৯.৪ মিলিয়ন মেট্রিক টনে। ২০০৮-০৯ থেকে ২০২০-২১ বছর পর্যন্ত প্রতিবছর দেশে সবজি উৎপাদন গড়ে ৫ শতাংশ এবং ফল উৎপাদন গড়ে ১১ শতাংশের বেশি হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে বিশ্বে বাংলাদেশ ধান ও মাছ উৎপাদনে ৩য়, পাট উৎপাদনে ২য়, সবজি উৎপাদনে ৩য় এবং আলু উৎপাদনে ৬ষ্ঠ।

বাংলাদেশের জিডিপি’তে কৃষি খাতের অবদান ১১.৬৬ ভাগ, জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের কর্মশক্তির প্রায় ৪০.৬% কৃষিতে নিয়োজিত। আমাদের জিডিপিতে মৎস্য খাতের অবদান ২.৪৩% এবং প্রাণিসম্পদ খাতের অবদান ১.৯০% ।

সরকার কৃষি গবেষণা ও উদ্ভাবনকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে, উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘দেশে বর্তমানে ৮টি সরকারি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। গত ১৪ বছরে ৬৯০টি উন্নত ও উচ্চ ফলনশীল শস্যের জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে। আমাদের বিজ্ঞানীরা লবণাক্তসহিষ্ণু ধান উদ্ভাবন করেছেন এবং খরা ও জলমগ্নতা-সহিষ্ণু ধান উদ্ভাবনের জন্য গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে।’

‘বিশ্বের প্রথম জিঙ্ক সমৃদ্ধ ‘ব্রি ধান ৬২’, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট-সমৃদ্ধ চাল, ডায়াবেটিক চাল এবং প্রো-ভিটামিন-সমৃদ্ধ জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে। দেশি ও তোষা পাটসহ পাঁচ শতাধিক ফসলের ক্ষতিকর ছত্রাকের জীবনরহস্য উন্মোচন করা হয়েছে। কানাডার ইউনিভার্সিটি অব সাসকাচোয়ান-এর গ্লোবাল ইনস্টিটিউট ফর ফুড সিকিউরিটি-তে ‘বঙ্গবন্ধু গবেষণা চেয়ার’ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।’

কৃষিকে আধুনিক ও লাভজনক করতে ২০১০ থেকে ২০২২ পর্যন্ত প্রায় ৮১ হাজার কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহের কথা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সার, বিদ্যুৎ ও সেচ ইত্যাদির জন্য ১ লাখ ২ হাজার ৯১৭ কোটি টাকা উন্নয়ন সহায়তা দেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে সারের মূল্য বৃদ্ধির কারণে ২০২২-২৩ অর্থবছরে উন্নয়ন সহায়তা হিসেবে ২৬ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।’

বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ অতিমারি এবং ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে খাদ্যশস্য উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থা বিশেষভাবে বাধাগ্রস্ত হয়েছে, উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অতিমারি মোকাবিলায় আমাদের সরকার ৫ হাজার কোটি টাকা কৃষি প্রণোদনা দিয়েছে। আমি দেশের সকল মানুষকে প্রতি ইঞ্চি জমি চাষের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছি।’

‘আমি চাই আমাদের নিজেদের খাবার যেন আমরা নিজেরাই উৎপাদন করতে পারি। সে অনুযায়ী দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে সবজি-পুষ্টি বাগান তৈরি করা হয়েছে। প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার কৃষক এবং তাদের পরিবার এই কর্মসূচি থেকে উপকৃত হচ্ছেন।’

২০১৬ সাল থেকে দরিদ্র গ্রামীণ জনগোষ্ঠির জন্য খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ৫০ লাখ পরিবারকে প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হচ্ছে, জানিয়ে তিনি বলেন, ‘গত বছর পর্যন্ত প্রতি কেজি চালের দাম ছিল ১০ টাকা। বর্তমানে ১৫ টাকা কেজি দরে দেওয়া হচ্ছে। ওএমএস (ওপেন মার্কট সেল) কর্মসূচির মাধ্যমে সকলের জন্য উন্মুক্ত রেখে ৩০ টাকা কেজি দরে চাল এবং ২৪ টাকা কেজি দরে আটা বিক্রি করা হচ্ছে। একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ ৫ কেজি চাল এবং ৫ কেজি আটা কিনতে পারেন। চলতি জুলাই মাস থেকে টিসিবি’র মাধ্যমে চিনি, ডাল ও ভোজ্যতেলের সঙ্গে সারা দেশের ১ কোটি পরিবারকে মাসিক ৫ কেজি করে ওএমএস-এর চাল দেওয়া শুরু হয়েছে।’

তিনি বলেন, ২০১৯ সালে ‘ন্যাশনাল স্কুল মিল পলিসি’ চালু হওয়ার পর আমরা সারা দেশে ১০৪টি দারিদ্র্যপ্রবণ উপজেলায় প্রায় ৩০ লাখ স্কুলগামী শিশুকে পুষ্টিকর খাবার সরবরাহ করছি। আজ সকালে আমরা ‘স্কুল মিল কোয়ালিশন’-এ যোগদান করেছি।

২০১৩ সালে সরকার নিরাপদ খাদ্য আইন প্রণয়ন করে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ২০১৫ সালে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ গঠন করি। বর্তমানে সরকারি পর্যায়ে খাদ্যশস্য সংরক্ষণের ধারণক্ষমতা প্রায় ২১ লাখ ৫৯ হাজার মেট্রিক টন। দেশে খাদ্যশস্য মজুদের পরিমাণ সোয়া ১৬ লাখ টনের বেশি, যা ২০০৭ সালে ছিল ১০ লাখ টন। দেশের দুর্যোগপ্রবণ ১৯টি জেলার ৬৩টি উপজেলায় প্রায় ৫ লাখ পারিবারিক সাইলো বিতরণ করা হয়েছে।

বাংলাদেশের কৃষি খাত এরইমধ্যে তার জলবায়ু অভিযোজন সক্ষমতা অনেকাংশে প্রমাণ করেছে, উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, জলমগ্ন এলাকায় আমাদের সনাতনী ‘ভাসমান কৃষি পদ্ধতি’ ২০১৫ সালে এফএও কর্তৃক কৃষিতে ‘বিশ্ব ঐতিহ্য’ হিসেবে স্বীকৃত হয়।

‘আমরা এগ্রো-ইকোলজিকাল জোনসের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কৃষি উৎপাদন ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাচ্ছি। জৈব সার উৎপাদন, ফসলী জমির বৈচিত্র্য, বিরূপ পরিস্থিতি সহনশীল জাত উদ্ভাবন, সামুদ্রিক সংরক্ষিত এলাকা এবং প্রজনন ক্ষেত্রগুলোর সুরক্ষা, বৃষ্টির পানি সংগ্রহ এবং ম্যানগ্রোভ বাগান প্রস্তুতকরণসহ বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।’

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে কৃষি উৎপাদনে সমলয়সহ বিভিন্ন আধুনিক পদ্ধতির প্রচলন এবং স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্মতভাবে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমাদের চাষীগণ যথেষ্ট বিচক্ষণতার পরিচয় দিচ্ছেন। আমাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে দেশের তরুণ সমাজ কৃষিক্ষেত্রে যুক্ত হয়ে ‘স্মার্ট কৃষি’ বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে এসেছে।

আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কৃষি ও খাদ্যপণ্যের রপ্তানি বাড়াতে উৎপাদন হতে শিপমেন্ট পর্যন্ত উত্তম কৃষি চর্চা, হাইজিন প্র্যাকটিসেস, গুড ম্যানুফ্যাকচারিং প্র্যাকটিসেস অনুসরণ করার কথা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এছাড়াও, আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন অ্যাক্রিডিটেড ল্যাব স্থাপন করে দেশি পণ্যের মান নিশ্চিত করার দিকে মনোনিবেশ করছি।

কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণে বিশেষ প্রণোদনার ব্যবস্থা করার কথা উল্লে খ করে তিনি বলেন, এছাড়াও, আফ্রিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে আমাদের কৃষি উদ্ভাবন ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে আমাদের আগ্রহের কথা জানিয়ে আসছি।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2021 rudrabarta24.net
Theme Developed BY ThemesBazar.Com

sakarya bayan escort escort adapazarı Eskişehir escort