ম্যাচটি ছিল ইংল্যান্ডের জন্য বাঁচা-মরার। তাও আবার পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা দল নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে। হারলেই বিদায় এক প্রকার নিশ্চিত। কিন্তু হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে শক্তিশালী কিউইদের হারিয়ে সেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখলো ইংলিশরা। পাশাপাশি জমিয়ে তুললো ‘গ্রুপ-১’ থেকে সেমিফাইনালে যাওয়ার লড়াই।
৪ ম্যাচ থেকে এখন নিউ জিল্যান্ড, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার পয়েন্ট সমান ৫। এখন শেষ ম্যাচের আগে নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না কে যাবে সেমিফাইনালে। অবশ্য আজ ব্ল্যাক ক্যাপসরা জিতলে তাদের সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যেত এক ম্যাচ আগেই। এখন শেষ ম্যাচে যদি তিন দলই জয় পায় তাহলে নেট রান রেট বিবেচনায় নির্ধারণ হবে কে যাবে শেষ চারে।
মঙ্গলবার (০১ নভেম্বর) ব্রিসবেনে ইংল্যান্ড আগে ব্যাট করে জস বাটলারের ৭৩ ও আলেক্স হেলসের ৫২ রানের ইনিংসে ভর করে ৬ উইকেটে ১৭৯ তোলে। জবাবে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রান তুলতে পারে নিউ জিল্যান্ড। তাতে ২০ রানের জয়ে সেমিফাইনালে যাওয়ার দৌড়ে টিকে থাকে ইংলিশরা।
অবশ্য গ্লেন ফিলিপস আউট না হলে এই ম্যাচের ফল ভিন্নও হতে পারতো। কেন উইলিয়ামসনকে নিয়ে তৃতীয় উইকেটে তারা দুজন ৯১ রানের জুটি গড়েন। উইলিয়ামসন ৪০ বলে ৩ চারে ৪০ রান করে ফিরলেও ফিলিপ ধারন করেছিলেন রুদ্রমূর্তি। মাত্র ২৫ বলে ৩টি চার ও ৩ ছক্কায় ফিফটি পূর্ণ করেন। দলীয় ১৩৫ রানের মাথায় ১৮তম ওভারের তৃতীয় বলে আউট হন তিনি। ৩৬ বলে ৪টি চার ও ৩ ছক্কায় ৬২ রান করে যান। তার আউটের মধ্য দিয়ে মূলত ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় নিউ জিল্যান্ড।
বল হাতে ইংল্যান্ডের স্যাম কারান ৪ ওভারে ২৬ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন। আর ক্রিস ওকস ৪ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট।
তার আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে জস বাটলার ও আলেক্স হেলস ৮১ রান তোলেন। এই রানে হেলস ৪০ বলে ৭টি চার ও ১ ছক্কায় ৫২ রান করে আউট হন। এরপর ১০৮ রানে মঈন আলী (৫), ১৫৩ রানে লিয়াম লিভিংস্টন (২০) ও ১৬০ রানে হ্যারি ব্রুক ফিরলেও বাটলার ছিলেন স্বমহিমায়। তবে ১৬২ রানের মাথায় আউট হন তিনি। তার ব্যাট থেকে ৪৭ বলে ৭টি চার ও ২ ছক্কায় ৭৩ রান আসে। শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৯ রানের সংগ্রহ পায় ইংলিশরা।
বল হাতে নিউ জিল্যান্ডের লোকি ফার্গুসন ৪ ওভারে ৪৫ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন। ম্যাচসেরা হন জস বাটলার।