২০০৬ সালের ১৩ জানুয়ারি সকালে রূপগঞ্জের বিরাব বাজার এলাকায় ১০ বছরের এক শিশুকে ধর্ষনের পর হত্যা করা হয়। পরে, ওই বছরের ১৫ জুন নাজিম উদ্দিন, মো. ইলিয়াছ মিয়া ও শাহ আলমর আলীর নাম উল্লেখ করে একটি চাজশির্ট জমা দেয় সিআইডি।
সেই ঘটনার দীর্ঘ ১৭ বছর পর ওই ঘটনায় নাজিম উদ্দিনের মৃত্যুদন্ড দিয়েছে আদালত। একই সাথে, মামলার অন্য দুই বিবাদি ইলিয়াছ মিয়া ও শাহ আলমর আলীকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক নাজমুল হক শ্যামল এ রায় ঘোষণা করেন।
তবে, শুনানি চরাকালীন খালাস প্রাপ্ত আসামীরা উপস্থিত থাকলেও, ছিলেন না মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত নাজিম উদ্দিন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৬ সালের ১৩ জানুয়ারি সকালে রূপগঞ্জের বিরাব বাজার এলাকার ১০ বছরের শিশু জামা আনতে দর্জির দোকানে যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয়। পরদিন ১৪ জানুয়ারি বিকেলে বিরাব এলাকার বাঁশঝাড় থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় শিশুটির মা বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় মামলা করেন।
এদিকে, সেই মামলার তদন্তভার পরে সিআইডির কাধে। পরে ২০০৯ সালের ১৫ জুন নারায়ণগঞ্জ সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক ওবায়দুল্লাহ আদালতে তিনজনের নাম উল্লেখ করে চাজশির্ট জমা দেয়। এ ঘটনায় মোট ২১ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছে।
এ বিষয়ে কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান, ২১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে একজনের বিরুদ্ধে ফাঁসির আদেশ এবং দুজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। দুজন আসামির উপস্থিতিতে আদালত এ রায় ঘোষণা করেছেন।