শীতলক্ষ্যা নদীর পশ্চিমে নারায়ণগঞ্জ শহর ও পূর্ব পাড়ে বন্দর, এই দুই পাড়ের মানুষের সংযোগকারী নাসিম ওসমান সেতুর নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। সেতুটি নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নকে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের বন্দর উপজেলার মদনগঞ্জ এলাকার সঙ্গে সংযুক্ত করেছে। সবকিছু ঠিকঠাক চললে আগামী সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই সেতুর কাজ সমাপ্ত করা সম্ভব হবে বলে নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, এক হাজার ২৩৫ মিটার দৈর্ঘ্যের এ সেতুটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৪৫৬ কোটি টাকা। মূল সেতুটির নির্মাণকাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। এর আগে ২০১৫ সালে বর্তমান সরকার শীতলক্ষ্যা সেতু তৈরির উদ্যোগ নেয়। একই বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
সেতুর প্রকল্প পরিচালক সোয়েব আহমেদ জানান, মূল কাজ শেষে এখন সংযোগ সড়ক ও পূর্ব প্রান্তে টোল প্লাজা নির্মানের কাজ চলছে। লাইটিং ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাজগুলো শেষ করা হচ্ছে। আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ করার ব্যাপারে আমরা আশাবাদী।
নারায়ণগঞ্জবাসী বলছেন, সেতুটি বাস্তবায়ন হলে নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম-মুন্সিগঞ্জ ও সিলেটের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে। দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ সেতুটি ব্যাবহার করে খুব দ্রুতই গন্তব্যে যেতে পারবেন।
সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, সেপ্টেম্বরে কাজ শেষ হলে দুয়েক মাসের মধ্যেই সেতুটি যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।