নারায়ণগঞ্জ সিটি করপরেশন নির্বাচনে আওয়ামীলীগ দলীয় প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াত আইভী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারসহ ৬ প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে বাতিল করা হয়েছে ২জনের প্রার্থীতা।
সোমবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত নির্বাচন কমিশনের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা করা হয়।
মনোনয়ন বৈধ ৬ প্রার্থী হলেন- আওয়ামীলীগ দলীয় প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াত আইভী, স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার, খেলাফত মজলিসের মেয়র প্রার্থী এবিএম সিরাজুল মামুন, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রার্থী মো. জসিম উদ্দিন, ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মাওলানা মো. মাসুম বিল্লাহ, বাংলাদেশ কল্যান পার্টির প্রার্থী মো. রাশেল ফেরদৌস।
মনোনয়ণ বাতিলকৃতরা হলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল ইসলাম। নির্বাচন কমিশনের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই অনুষ্ঠানে তার কোন প্রতিনিধি সেখানে উপস্থিত ছিলেননা। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তার দাখিল করা ৩০০ ভোটার তালিকায় গরমিল রয়েছে। ভোটার যাচাই বাচাইয়ে সঠিক পাওয়া যায়নি।
এছাড়াও তার বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবির তথ্যে প্রিমিয়ার ব্যাংকের ঋণ খেলাপি হিসেবে তার বিরুদ্ধে তথ্য পাওয়া গেছে। এ কারণে তার প্রার্থীতা বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।
অপরজন স্বতন্ত্র প্রার্থী মো, সুলতান মাহমুদ। তার দাখিলকৃত ৩০০ ভোটার তালিকায় গরমিল পাওয়া গেছে। এ কারণে তার প্রার্থীতা বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।
এর আগে প্রার্থীদের দেয়া সকল তথ্য যাচাই করার পর সেগুলো সঠিক পেয়ে সিটি করপোরেশন, পুলিশ প্রশাসন, ব্যাংক বিভাগ, আয়কর বিভাগের উপস্থিত প্রতিনিধিদের অনাপত্তি প্রদান সাপেক্ষে প্রার্থীদের প্রার্থীতা বৈধ ঘোষণা করা হয়।
রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহফুজা আক্তার বলেন, দুজনের প্রার্থীতায় ভুল তথ্য প্রদান ও ঋণ খেলাপি থাকায় বাতিল করা হয়। বাকিদের প্রার্থীতা বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। যারা বৈধ হননি তারা চাইলে আপিল করতে পারবেন।
সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা মতিয়ুর রহমান জানান, আপনারা অনেকে দেখা যায় প্রতীকের দিন মিছিল করে এখানে আসেন এটি ঠিক নয় কারণ ২৭ তারিখ প্রতীক বরাদ্দ, আপনারা ২৮ তারিখ থেকে প্রচারণা করবেন। এর ব্যত্যয় হলে আমাদের অতিরিক্ত আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা নিতে হবে।
পোস্টার ব্যানারসহ নানা আচরণবিধি ভঙ্গের সংবাদ গণমাধ্যমে আসছে, আমরা সবাইকে সচেতন করছি তবে নির্বাচন যেহেতু একটি উৎসব তাই আমরা চাইনা কারো বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে।
আপনারা নগর পিতা হবেন তাই নগরবাসীকে আগলে রাখবেন, যদি আপনারাই আইন ভঙ্গ করেন তাহলে সেটা লজ্জাজনক। শাস্তিমূলক ব্যবস্থা যে নেয়া হচ্ছেনা তা নয়, ব্যানার ফেস্টুন অপসারণে অভিযান চলছে নিয়মিত। আগামী ২৮ ডিসেম্বর থেকে আমাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা মাঠে থাকবেন আমরাও থাকবো।