বগুড়ার ধুনট ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে ভোটযুদ্ধে নেমেছেন সাহেদ আলী ও তার স্ত্রী নাজমা খাতুন। এ নিয়ে ভোটারদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় ইউপি নির্বাচনে ৮ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে শাহজামাল, আবুল কাসেম, শাহেদ আলী ও তার স্ত্রী নাজমা খাতুন চারজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। স্বামী-স্ত্রী দুজনই ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন।
তফসিল অনুযায়ী, ৪ নভেম্বর যাচাই-বাছাই শেষে নাজমা খাতুনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করলেও স্বামী সাহেদ আলীর মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা না করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। তবে সাহেদ আলী এ বিষয়ে বগুড়া জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে আপিল আবেদন করেছেন। সোমবার (৮ নভেম্বর) সাহেদ আলীর আপিল আবেদনের শুনানি হবে।
চালাপাড়া গ্রামের ভোটার মোকবুল হোসেন বলেন, স্বামী-স্ত্রী সাধারণ সদস্য পদে প্রার্থী হয়েছেন। কাকে ছেড়ে কাকে ভোট দেব। প্রার্থীদের চেয়ে আমরাই বেশি চিন্তায় পড়েছি।
একই গ্রামের ভোটার আনিছা খাতুন বলেন, স্বামী-স্ত্রী দুজনই আমাদের বাড়িতে ভোট চাইতে এসেছিলেন। কাউকে ভোট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিইনি। যোগ্য প্রার্থী দেখেই এবার ভোট দেব।
নির্বাচন নিয়ে সাহেদ আলী বলেন, কোনো কারণে আমার মনোনয়নপত্র বাতিল হলে সে ক্ষেত্রে স্ত্রী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। আপিল আবেদনে আমার প্রার্থিতা বৈধ হবে বলে আশা করছি। এখন দুজনই মাঠে আছি।
এ বিষয়ে নাজমা খাতুন বলেন, প্রার্থী যখন হয়েছি, প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। দেখি জনগণ কী রায় দেন।