নিহত ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন বলেছেন, ‘আজ যে জায়গায় আমি কথা বলছি, একই স্থানে আমার বাবা অনেক প্রোগ্রাম করেছেন। আজ সবাই আছেন, শুধু দেখছি আমার বাবা নেই। আপানারা যারা আজ এখানে এসেছেন তারা কেউ ভেঙে পড়বেন না। আমরা এখানে বিচার চাইতে এসেছি। দেহে একবিন্দু রক্ত থাকা পর্যন্ত বাবা হত্যার বিচার চাইবো।’
শুক্রবার (২৪ মে) বিকেল ৪টার দিকে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ শহরের মেইন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যার প্রতিবাদে ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি একথা বলেন। ঘণ্টাব্যাপী এই কর্মসূচির আয়োজন করে নিহত সংসদ সদস্য আনোয়ারুলের নিশ্চিন্তপুর গ্রামবাসী।
ডরিন বলেন, কী অপরাধ করেছে আমার বাবা? পরিবারকে ঠিকমতো সময় দেননি তিনি। আজ তার এই করুন পরিণতি হলো। শ্বাসরোধ করে হত্যার পর তার মরদেহ টুকরো টুকরো করা হয়েছে।
সাংবাদিকদের ডরিন বলেন, আজ অনেক সাংবাদিক ভাইয়েরা নিউজ করছেন। তিনি (বাবা) এই ব্যবসা করতেন, ওই ব্যবসা করতেন। আপনারা কী জানেন, একটা সময়ে তিনি কেন ভারতে থাকতেন? ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল চার দলীয় জোটের সময় তাকে মারার পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু, তখন তার হায়াত ছিল বলে আল্লাহ বাঁচিয়েছেন। জীবন বাঁচানোর জন্য তিনি ভারতে ১৪ বছর থেকেছেন। অনেকে আশ্রয় দিয়েছেন। তার নামে যে মামলার কথা বলা হচ্ছে, সেগুলোতে তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন। আপনারা খোঁজ নিয়ে দেখবেন।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কী কথা হয়েছে সে সম্পর্কে এমপি কন্যা বলেন, তিনি (প্রধানমন্ত্রী) আমাকে আশ্বস্ত করেছেন। তিনি আমাকে ধৈর্য ধরার কথা বলেছেন।
মানববন্ধনে কালীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম বলেন, কালীগঞ্জ থেকে যে ফুল ঝরে গেছে, সেই ফুল আর ফুটবে না। যারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
সংসদ সদস্য আনোয়ারুলের বাল্য বন্ধু গোলাম রসুল বলেন, তিনি (আনোয়ারুল) মানুষের দোয়ারে দোয়ারে নিজে গিয়ে সেবা দিয়েছেন। তাকে এভাবে হত্যা করা হলো। প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ, এই (আনোয়ারুল) পরিবারের মাথার ওপর থেকে আপনার হাত ফিরিয়ে নিবেন না।
মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন- কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শিবলী নোমানী, ইউপি চেয়ারম্যান ওহিদুজ্জামান ওদু প্রমুখ।