
শেখ ফিরোজ আহমেদ, সিনিয়র রিপোর্টারঃ কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুল সালাম বেপারী তার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ মিথ্যা বানোয়াট উদ্দেশ্য প্রনোদিত ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার এবং অপপ্রচার বলে দাবি করেছেন।
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি উপজেলা নির্বাহী কমিশনার( ইউ এনও) নিকট লিখিত ( কপি সংযুক্ত) জবাব দাখিল করেন।
জবাবে আব্দুল সালাম বেপারী বলেন ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ নির্বাচনে আমি ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়ে ইউপি সকল সদস্যের মতামতের ভিত্তিতে ১নং প্যানেল চেয়ারম্যান করা হয় এবং ১৮ আগষ্ট ২০২৪ তারিখে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পাওয়ার পর দৌলতপুর ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডেই সকল ইউপি সদস্যদের মাধ্যমে দৃশ্যমান উন্নয়নকাজ বাস্তবায়ন করি।
ইউপি সদস্য মোঃ পলাশ ২নং ওয়ার্ডে নতুন রাস্তা পুরাতন রাস্তার পুননির্মাণ সংযোগ সড়ক ১টি ইটের ছলিং ও ১ টি মাটির রাস্তার টাকা আত্মসাৎ করে ৫টি আর সি সি ঢালাই সহ মোট ৯টি প্রকল্পের কাজ করে।
এবং পলাশ তার স্ত্রী ও তিন বোনের ৪ টি খাদ্য সহয়তা কার্ড সহ টিসিবি ও নায্য মুল্যের কার্ড ফ্যামিলি সদস্যদের নামে ও কিছু ভাতা কার্ড আত্মসাৎ করে
ইউপি সদস্য মোঃ কাইয়ুম ৩নং ওয়ার্ডে নতুন পুরাতন রাস্তা ও ২টি আরসিসি রাস্তার মধ্যে ১প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করে এবং মোট ৭টি প্রকল্পের কাজ করে।
ইউপি সদস্য মোঃ বিল্লাল হোসেন ৪নং ওয়ার্ডে ১টি ইটের ছলিং ১টি আর সি সি ঢালাই সহ মোট ৩টি প্রকল্পের কাজ করে।
ইউপি সদস্য মোঃ লিটন মিয়াজী ৫নং ওয়ার্ডে পুরাতন রাস্তা পুননির্মাণ সহ মোট ৬টি প্রকল্পের কাজ করে।
ইউপি সদস্য মোঃ শাহআলম ৬নং ওয়ার্ডে ইটের ছলিং ২ খন্ডে ১খন্ডের টাকা আত্মসাৎ সহ মোট ৪টি প্রকল্পের কাজ করে।
ইউপি সদস্য মোঃ আমান উল্লাহ ৭নং ওয়ার্ডে রাস্তা পুননির্মাণ ৪টিআর সি সি ঢালাই সহ মোট ৮টি প্রকল্পের কাজ করে।
ইউপি সদস্য মোঃ করম আলী ৮নং ওয়ার্ডে ২টি আর সি সি ঢালাই সহ মোট ৮ টি প্রকল্পের কাজ করে। সকল ইউপি সদস্য গন হারে
বয়স্ক ভাতা ১৩জন, বিধবা ভাতা ১২জন, মাতৃত্বকালীন ভাতা ৬ জন, টিসিবি ১০৩ জন, খাদ্য সহায়তা ১২জন এবং সকল বরাদ্দ ইউপি সদস্যগন সমানভাবে ভাগ করে নেয়।
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুল সালাম বেপারী তার জবাবে বলেন আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ পরিকল্পিত অপপ্রচার ছাড়া কিছুই নয় আমি সততা স্বচ্ছতা ও দায়িত্বশীলতার সাথে ইউনিয়ন বাসিকে সেবা দিয়ে যাচ্ছি এবং ভবিষ্যতে ও ইউনিয়ন বাসিকে সেবা দেব আমি বিশ্বাস করি প্রকৃত সত্য উদঘাটিত হলে আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হবে ইনশাআল্লাহ।
আমার বিরুদ্ধে ১৪ মাসে ৫বার অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছে আইনে আছে কি? ১৪মাসে সাবেক ৫বার অনাস্থা প্রস্তাবে দোষী হলে একবার অনাস্থা প্রস্তাবই যথেষ্ট বলে আমি মনে করি। এটি প্রতিহিংসার প্রমাণ
আমি ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করি আশা করি ন্যায় বিচার পাব।