শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৫৯ অপরাহ্ন

তিন লাখ চেয়েছিল আমি ৩ টাকাও দেইনি: শামীম ওসমান

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০২৪, ৩.৪৬ এএম
  • ৮৭ বার পড়া হয়েছে

নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানের ২৫ থেকে ৩০ হাজার ভোট নষ্ট করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। এসময় তিনি আরও অভিযোগ করেন ভোট স্লো করে দেয়ার হুমকি দিয়ে ফতুল্লার পাইলট স্কুল কেন্দ্রে তিন লাখ টাকা দাবি করা হয়েছিল। কিন্তু ৩ টাকাও তিনি দেননি।

বুধবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের নম পার্কে ফতুল্লার নেতাকর্মীদের নিয়ে নির্বাচনোত্তর পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে এইসব অভিযোগ করেন।

শামীম ওসমান বলেন, নির্বাচনের রেজাল্ট শিট আমার হাতে এসেছে। আমাদের কম করে হলেও ২৫ থেকে ৩০ হাজার ভোট নষ্ট করা হয়েছে। অনেকে এসেছে ভোট দিতে, দেওয়া হয়নি। আমি কোনো কেন্দ্রে যাইনি। সারাদিন কবরস্থানে আমার বাবা, মা, দাদা ও ভাইয়ের কবরের সামনে ছিলাম। আমি আমার মন মতো এবাদত করেছি। ভোট দিয়ে সোজা রাইফেল ক্লাবে চলে গিয়েছি।

তিনি বলেন, আমি নির্বাচন নিয়ে কোনো অফিসারের সঙ্গে কথা বলিনি। আমি বলেছিলাম ফ্রি ফেয়ার নির্বাচন করবো। এই নির্বাচনে আমার ভোট কমাতে চেষ্টা করা হয়েছে। সিদ্ধিরগঞ্জে আমাদের বিশাল সংখ্যক নারী ভোটারের ভোট কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন তো সবার কাছেই মোবাইল ফোন থাকে। বলা হলো ফোন নিয়ে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হবে না। পরে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও পুলিশ সুপারকে জানাই। কারা দিচ্ছে না? কিছু জায়গায় পুলিশ, কিছু জায়গায় জুডিশিয়াল ডিপার্টমেন্ট, কিছু জায়গায় প্রিসাইডিং অফিসার। ফতুল্লা পাইলট স্কুলে বলা হয়েছে তিন লাখ টাকা দিন। নয়তো ভোট স্লো হয়ে যাবে। আমি তিন টাকাও দেইনি। আমাদের প্রত্যশা ছিল ৪১-৪২ শতাংশ ভোট পড়বে কিন্তু আমার আট পার্সেন্ট ভোট কম কাস্ট করা হয়েছে। কিছু কিছু এলাকায় যেমন বক্তাবলীতে প্রচারণায় একদিন গিয়েছি। কিন্তু বক্তাবলী চমৎকার রেজাল্ট করেছে। ৫০ ভাগ ভোট কাস্ট করেছে। ফতুল্লায়, কুতুবপুর, কাশিপুর ভোট কম পড়েছে।

তিনি আরও বলেন, নেতাদের গা ঘেঁষে দাঁড়ালেই নেতা হয় না। নেতা সে হয় যার কথায় মানুষ সাড়া দেয়। আমার গ্রুপ কাজ করছে কোথায় কত ভোট পেয়েছি। আমি সবাইকে নিয়ে বসবো। যে যে সেন্টারের দয়িত্বে ছিলেন তাদের জিজ্ঞাস করবো। ভোট কম হলেও প্রশ্ন করবো, বেশি হলেও প্রশ্ন করবো। কার পায়ের তলায় মাটি কতটুকু দেখতে চাই। কেন ভোটাররা আসলো না, ইচ্ছে করেই ভোটার না আনলে সমস্য। আর যদি আনতে পারলেন না কিন্তু চেষ্টা করেছিলেন তাহলে ওই এলাকায় আরো কাজ করতে হবে।

বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম. শওকত আলীর সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দন শীল, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা, যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন ভুঁইয়া সাজনুসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2021 rudrabarta24.net
Theme Developed BY ThemesBazar.Com

sakarya bayan escort escort adapazarı Eskişehir escort