লুক উডকে এক্সট্রা কাভারে দারুণ ড্রাইভে বাউন্ডারির বাইরে পাঠান তাওহীদ হৃদয়। পা রাখেন নব্বইয়ের ঘরে। সঙ্গে দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স পেয়ে যায় দাপুটে এক জয়। কিন্তু তাওহীদ আক্ষেপই করতে পারেন, খুলনা টাইগার্স যদি আর কিছু রান করতো! তাহলে তো ৯ রানের জন্য দ্বিতীয় সেঞ্চুরি হাতছাড়া হতো না!
ঢাকায় অপরাজিত সেঞ্চুরির পর চট্টগ্রামে নেমেই শূন্য। তাওহীদ নিজেকে ফিরে পেতে সময় নেননি। চার-ছক্কার ঝড় তুলে উত্তাল করেছেন সাগরিকার পাড়। তাওহীদের ঝড়ে এনামুল হক বিজয়দের হৃদয় ভেঙেছে।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে ৮ উইকেটে ১৬৪ রান করে খুলনা। তাড়া করতে নেমে ২১ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে কুমিল্লা। টানা পাঁচ জয়ে পয়েন্ট টেবিলে নিজেদের অবস্থান আরও পোক্ত করেছে লিটন দাসের দল, অন্যদিকে টানা পাঁচ হারে শেষ চারের লড়াইয়ে কিছুটা পিছিয়ে গেলেন বিজয়রা।
তাওহীদ মাত্র ৪৭ বলে ৯১ রান করে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। ৭টি করে চার-ছয়ে তার ইনিংসটি সাজান। তাকে দারুণ সঙ্গ দেন জাকের আলী অনিক। তিনি ৩১ বলে ৪০ রানে অপরাজিত ছিলেন। দুজনের জুটি থেকে আসে মাত্র ৫৪ বলে ৮৪ রান।
কুমিল্লার শুরুটা হয়েছিল নড়বড়ে। শুরুতে ফেরেন অধিনায়ক লিটন। স্কোরবোর্ডে পঞ্চাশ না হতে ফেরেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান উইল জ্যাকস (১৮)। তিনে নামা তাওহীদের সঙ্গী হন জনসন চার্লস। আগের রাতে কুমিল্লা শিবিরে যোগ দেওয়া এই ক্যারিবিয়ানও ১৩ রানের বেশি করতে পারেননি। এরপর তাওহীদ-জাকের ম্যাচ শেষ করে ফেরেন সাজঘরে। খুলনার হয়ে ১টি করে উইকেট নেন ওয়েন পার্নেল-মুকিদুল ইসলাম-নাহিদ রানা।
এর আগে আলেক্স হেলস ও আফিফ হোসেনের উদ্বোধনী জুটিতে ৪ ওভারেই ৩২ রান তুলে ফেলে খুলনা। এরপর আউট হন হেলস। ৩ চার ও ১ ছক্কায় ২২ রান করেন তিনি। অধিনায়ক এনামুল হক ৬৯ রানের মাথায় আউট হন। ২ ছক্কায় ১৮ রান আসে তার ব্যাট থেকে।
৭১ রানের মাথায় গিয়ে ফেরেন আফিফ। ৩৩ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ২৯ রান করেন তিনি। এভিন লুইস ও মাহমুদুল হাসান জয় দলীয় সংগ্রহকে টেনে নেন ১২৮ পর্যন্ত। অবশ্য এরপরই ফিরেন জয়। ১ চার ও ২ ছক্কায় ২৮ রান করে যান তিনি। লুইসও এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ১৩৯ রানের মাথায় তিনি ফিরেন সর্বোচ্চ ৩৯ রান করে। তার ইনিংসে ৩টি চার ও ২টি ছক্কার মার ছিল।
সেখান থেকে দ্রুত কয়েকটি উইকেট হারায় খুলনা। কিন্তু ওয়েন পার্নেল ১১ বলে ২ ছক্কায় ২০ রানের ইনিংস খেলে শেষ ওভারে আউট হন। তাতে খুলনার সংগ্রহ ১৬৪ পর্যন্ত যায়।
বল হাতে কুমিল্লার ম্যাথু ফোর্ড ৪ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন। মঈন আলী ৪ ওভারে ৪৬ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট। ১টি করে উইকেট নেন আলিস আল ইসলাম ও মোস্তাফিজুর রহমান।