ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানের দল ঢাকা ক্যাপিটালকে হারিয়ে এবারের আসরের শুভ সূচনা করেছিল গ্লোবাল টি-টুয়েন্টির চ্যাম্পিয়ন রংপুর রাইডার্স। আসরের দ্বিতীয় ম্যাচে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ৩৪ রানে হারিয়ে আসরে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিল রংপুর রাইডার্স। প্রথম জয়ে নায়ক ছিলেন স্পিনার মেহেদী হাসান। তবে আজকের ম্যাচের জয়ের নায়ক নবীন পেসার নাহিদ রানা।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ৩৪ রানে হারিয়েছে রংপুর রাইডার্স। আগে ব্যাটিং বেছে ১৫৫ রানের পুঁজি পেয়েছিল রংপুর। ওই রান তাড়ায় সিলেট থামে মাত্র ১২১ রান।
১৫৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামার পর শুরুতেই জর্জ মুনসের উইকেট হারায় সিলেট। তিনি করেন মাত্র ২ রান। এরপর রনি তালুকদার ও জাকির হাসান মিলে ৩৩ রানের জুটি গড়েন। ১৮ রান করে জাকির হাসান আউট হয়ে যান। আইরিশ ব্যাটার পল স্টার্লিং ব্যাট করতে নেমে আউট হলে ৫ বলে ৬ রান করে। চতুর্থ উইকেটে জাকের আলি এবং রনি তালুকদার মিলে ৪৮ রানের জুটি গড়েন। কিন্তু ৩৬ বলে ৪১ রান করে রনি তালুকদার আউট হয়ে গেলে সিলেট স্ট্রাইকার্স ছিটকে যায় ম্যাচ থেকে।
বাকি ব্যাটাররা শুধু আসা-যাওয়ার মিছিলে ছিলো। মূলত রংপুরের পেসার নাহিদ রানা এবং সাইফউদ্দিনের পেসে কোণঠাসা হয়ে যায় তারা। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২১ রানে থামে সিলেট স্ট্রাইকার্স।
আগেরদিন রংপুরের হয়ে ওপেনিংয়ে সাইফ হাসান ও খুশদিল শাহরা জ্বলে উঠলেও আজ এ দু’জন ব্যর্থ। যা একটু কথা বলেছে আরেক পাকিস্তানি ইফতিখার আহমেদ এবং অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানের ব্যাট। ২৮ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে রংপুর রাইডার্স। সিলেট স্ট্রাইকার্সের তোপে ফিরে যান অ্যালেক্স হেলস, স্টিফেন টেইলর ও সাইফ হাসান। সেখান থেকে ৪১ রানের জুটি দিলেও ধীর ব্যাটিং করেছেন রংপুরের দুই পাকিস্তানি স্পিন অলরাউন্ডার ইফতিখার আহমেদ ও খুশদীল শাহ। তবে সোহান-মেহেদী শেষটায় কিছুটা পুষিয়ে দিয়েছেন।
ইফতিখার আহমেদ ৪২ বল খেলে ৪৭ রান করে অপরাজিত থাকেন। অন্যদিকে অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান কিছুটা ঝড় তুলতে সক্ষম হন। তিনি ২৪ বলে ৪ বাউন্ডারি এবং ২ ছক্কায় করেন ৪২ রান। খুশদিল শাহ করেন ১৬ বলে ২১ রান। শেখ মেহেদী হাসান করেন ৮ বলে ১৬ রান। এছাড়া ১৫ বলে ১২ রান করেন স্টিভেন টেলর। শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৫ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় রংপুর।
সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন তানজিম হাসান সাকিব ও আল আমিন হোসেন। রিসি টপলি এবং সামিউল্লাহ সিনওয়ারি নেন ১টি করে উইকেট।