গোল হচ্ছিল না। শেষ বাঁশির মিনিট পনেরো আগে সুইজারল্যান্ডের গোল। ৫ মিনিটে ইংল্যান্ড আবার সমতা আনে। সাদামাটা লড়াইর রূপ নেয় শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থায়। চলতে থাকে আক্রমণ-পালটা আক্রমণের খেলা।
৯০ মিনিটে ফল আসেনি। গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানেও ফল একই ১-১। টাইব্রেকারই শেষ ভরসা। এতে শেষ হাসি হাসে থ্রি লায়ন্স। ৫-৩ ব্যবধানে সুইসদের প্রথম সেমির স্বপ্ন ভেঙে টিকিট কাটে ইংল্যান্ড।
মের্কুর স্পিয়েল অ্যারেনায় শেষ আটের লড়াইয়ে নামে দুই দল। নেদারল্যান্ডস-তুরস্ক ম্যাচের জয়ী দল হবে ইংল্যান্ডের সেমির প্রতিপক্ষ। ইউরোতে টানা দ্বিতীয়বারের মতো প্রথমবার সেমিফাইনাল খেলবে সাউথগেটের শিষ্যরা।
প্রথমার্ধে গোল শূন্য ড্রয়ের পর ম্যাচের ৭৫ মিনিটে এগিয়ে যায় সুইসরা। বাঁ দিক থেকে আলতো টোকায় বল জালে জড়িয়ে দেন ব্রিল এমবোলো। মিনিট পাঁচেকও এগিয়ে থাকতে পারেনি রেড ক্রসেস খ্যাত সুইজারল্যান্ড।
৫ মিনিট পরই বুকাও সাকার চোখ ধাঁধানো গোল। রাইসের পাস পান ডান দিকে। কোনাকুনি অবস্থায় নেওয়া শটে লক্ষ্য ভেদ করেন সাকা। ম্যাচে আসে সমতা।
বাকি ৪০ মিনিট আক্রমণ-পালটা আক্রমণ চললেও গোলের দেখা পায়নি কোনো দল। বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরি করে সুইসরা। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেনি।
টাইব্রেকারে প্রথম গোলটি মিস করে সুইজারল্যান্ড। ম্যানুয়েল আকাঞ্জি শট রুখে দেন পিকপোর্ড। এটিই কাল হয়ে দাঁড়ায়। অন্যদিকে একটি শটও মিস করেনি ইংল্যান্ড। ছিলেন না অধিনায়ক হ্যারি কেনও।
বড় কোনো টুর্নামেন্টে এই নিয়ে চতুর্থবার টাইব্রেকারে জয়ের কৃতিত্ব গড়ে ইংল্যান্ড। এরমধ্যে দুবারই সুইসদের বিপক্ষে। সুইসারা কাটাতে পারেনি কোয়ার্টার ফাইনালের গেরো। এই নিয়ে ৫ বার ইউরো-বিশ্বকাপের কোয়ার্টার থেকে বাদ পড়েছে দলটি।
ম্যাচে ১৬টি শট নিয়েছে সুইজারল্যান্ড। ৩টি অন টার্গেট। ইংল্যান্ডের শট দুটি কম। অন টার্গেট সমান। গোল পাওয়া সাকার শটই ছিল প্রথম অন টার্গেট। ম্যাচে বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে ছিল সুইজারল্যান্ড। তাদের পায়ে বল ছিল ৫২ শতাংশ সময়।